Kabul Blast-কাবুলে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে আইসিস, দায় স্বীকার করল সংগঠন

হামলার বেশ কয়েক ঘন্টা পরে দ্যা ইসলামিক স্টেট খোরাসান বা আইসিস-কে সংগঠনটি হামলার দায় স্বীকার করে। ইতিমধ্যেই এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২৫ জনের।

Parna Sengupta | Published : Nov 3, 2021 4:29 AM IST

মঙ্গলবার আফগান রাজধানীতে(Afghan capital of Kabul) ধংস্বলীলা চালিয়েছে আইসিস(ISIS)। প্রাণঘাতী হামলার দায় স্বীকার করল এই সংগঠন। ইসলামিক স্টেট বা আইসিস জানিয়েছে তাদের পক্ষ থেকেই এই হামলা(ISIS takes responsibility) চালানো হয়েছে। হামলার বেশ কয়েক ঘন্টা পরে দ্যা ইসলামিক স্টেট খোরাসান (Islamic State Khorasan) বা আইসিস-কে সংগঠনটি হামলার দায় স্বীকার করে। ইতিমধ্যেই এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২৫ জনের। আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি মানুষ। 

আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন জানিয়েছে, মধ্য কাবুলের ওয়াজির আকবর খান এলাকায় প্রাক্তন কূননৈতিক এলাকার একটি স্থানে বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখান থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র ক্কারি সাইদ খোস্তি বলেছেন ৪০০ শয্যার বিশিষ্ট সরদার মোহম্মদ দাউদ খান হাসপাতালের প্রবেশ পথে বিস্ফোরণ হয়। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান এই হামলার পিছনে ইসলামিক স্টেটের বেশ কয়েকজন সক্রিয় সদস্যের হাত রয়েছে। যার মধ্যে একজন আত্মঘাতী বোমারুও রয়েছে। এই বোমারু হাসপাতালে গেটে বিস্ফোরণ ঘটায়। সশস্ত্র বন্দুকধারী এবং অন্তত একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী এই হামলা চালায়।

জঙ্গিরা কাবুলের ৪০০ শয্যা বিশিষ্ট সর্দার মহম্মদ দাউদ খান সামরিক হাসপাতালকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটায়। হাসপাতালে বিস্ফোরণ ঘটানোর ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেশি হয়। তালিবান মুখপাত্র বলেন হাসপাতালের বাইরে বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন তালিবান যোদ্ধাও রয়েছে। 

নিহতদের মধ্যে একজন হলেন মাওলাবি হামদুল্লাহ রহমানি, যিনি তালিবানের কাবুল কর্পসের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন সিনিয়র কমান্ডার। এই রহমানিই অগাষ্টে সরকার পতনের পর রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রবেশকারী প্রথম ব্যক্তি ছিলেন। নিহত আরও এক ব্যক্তি হলেন ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি। 

Japan Train Incident- হ্যালোউইনে হত্যাকান্ড, জাপানের ট্রেনে ছুরি নিয়ে হামলা, চলল গুলি

১৫ আগস্ট তালিবানরা কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অবনতি হয়েছে। আইএসআইএস কাবুলের পতনের পর মার্কিন সেনা সরে যেতেই কাবুল বিমানবন্দরে হামলা সহ বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন আরও জানিয়েছে, মধ্য কাবুলের ওয়াজির আকবর খান এলাকায় প্রাক্তন কূটনৈতিক এলাকার একটি স্থানে বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখান থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। 

আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র ক্কারি সাইদ খোস্তি বলেছেন ৪০০ শয্যার বিশিষ্ট সরদার মোহম্মদ দাউদ খান হাসপাতালের প্রবেশ পথে বিস্ফোরণ হয়। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেনা হাসপাতালের এক কর্মী সেখান থেকে বেরিয়ে এসে জানিয়েছেন প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ তিনি পেয়েছেন। পাশাপাশি গুলির শব্দও শুনেছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন প্রথমে বিস্ফোরণ হয়। তারপর টানা ১০ মিনিট ধরে গুলি চলে। তারপরই হয় দ্বিতীয় বিস্ফোরণ। এটি আফগানিস্তানের সবথেকে বড় সামরিক হাসপাতাল।

তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর থেকেই ইসলামিক স্টেট কাবুলে একের পর এক হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। কাবুল বিমান বন্দরে বিস্ফোরণেও তাদের হাত ছিল। মার্কিন সেনার সঙ্গে সমঝতা করার পর থেকেই তালিবানদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে আইসিস জঙ্গিদের। তালিবানদের এই সমঝতা তারা মেনে নেয়নি বলেও প্রকাশ্যে জানিয়েছিল। ২০১৭ সালে ৪০০ শয্যার হাসপাতালেই হামলা চালিয়েছিল তারা। সেই ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। 

গত অগাস্ট মাসে তালিবানরা কাবুলের দখল নিয়েছিল। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে তালিবান রাজ। বর্তমানে গোট চরম আর্থনৈতিক ও খাদ্য সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। গোটা দেশেই নগদ অর্থের চূডান্ত ঘাটতি রয়েছে।  তারওপর রয়েছে তালিবান আতঙ্ক।

Share this article
click me!