ভয়ঙ্কর পিরানহা ভর্তি একটি মাছের ট্যাঙ্ক। তার মধ্য়েই অভ্যুত্থানে লিপ্ত থাকার সন্দেহে সামরিক জেনাারেল-কে ছুড়ে ফেলে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছেন এক রাষ্ট্রনেতা। এতদুর শুনলে মনে তেই পারে জেমস বন্ডের কোনও ছবির কথা হচ্ছে। কিন্তু এটা সিনেমা নয়। বাস্তবেই এইরকম বন্ড ফিল্মের ভিলেনের মতো আচরণ করা শুরু করেছেন কিম জং-উন।
অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার সন্দেহে আটক হল কিমের এক সামরিক জেনারেল। যাতে আর কেউ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্র করার সাহস না পায়, তাই তাঁকে দৃষ্টান্তমূলক পথে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন উত্তর কোরিয়ার সর্বময় নেতা। তাঁর পার্শ্বচরদের নির্দেশ দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ডের নতুন পন্থা খোঁজার। আর তারপরেই এই ভয়াবহ কাণ্ড ঘটে।
জানা গিয়েছে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় কিমের রিয়ংসিয়ং-এর প্রাসাদে। ব্রাজিল থেকে কয়েকশ' পিরানহা মাছ এনে ভর্তি করা হয় একটি মাছের ট্যাঙ্কে। তারপর চুড়ি দিয়ে ওই জেনারেলের হাত ও বুক চিড়ে দেওয়া হয়। তারপর তাঁকে পিরানহাদের মুখে ফেলে দেওয়ার হয়। তাঁর মৃত্যু ছুরির আঘাতে হয়েছে না, পিরামহার আক্রমণে তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে কিম জয়উনের পরামর্শদাতারা এই মৃত্যুদণ্ডের পন্থাটি সত্য়ি-সত্যিই একটি জেমস বন্ডের ফিল্ম থেকে নেওয়া। ১৯৭৭ সালেুক্তি পেয়েছিলবন্ড ফিল্ম 'দ্য স্পাইহু লাভড মি'। সেখানে খলনায়ক কার্ল স্টর্মবার্গ ঠিক একইভাবে তাঁর শিকারদের পিরানহা ভরা মাছের ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলতেন। পিরানহাদের ধারালো দাঁতে মুহুর্তে তাদের দেহের মাংস লোপাট হয়ে যেত।
এর আগেও বিশ্বাসঘাতকদের হত্যা করতে নানান বীভৎস পন্থা নিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। কখনও অ্যান্টি ট্যাঙ্ক বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করিয়ে ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছেন তাঁদের দেহ, মাথা কেটে নিয়েছেন, বাঘের সামনে ফেলে দিয়েছেন, ফ্লেম থ্রোয়ার দিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছেন।