তাহলে কি মেদ ঝরে যাচ্ছে, রোগা হয়ে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার দাপুটে স্বৈচারিশাসক কিম জং উন। কারণ টা কী? তিনি অসুস্থ না ইচ্ছে করেই ঝড়িয়ে ফেলছেন বাড়তি মেদ। জল্পনা বিশ্ব জুড়ে। কারণ উত্তর কোরিয়ার নেতার মতই তাঁর ওজনও জল্পনার একটি বিষয়। কিমের ওজনের ওপর দীর্ঘ দিন ধরেই নজর রেখে আসছিল গোয়েন্দা সংস্থা। কারণ তাঁদের পরিবারের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর গত সপ্তাহে প্রকাশ্যে দেখা যায় কিম জং উনকে। আর সেখানেই তাঁকে রীতিমত রোগা দেখাচ্ছিল। তবে দেখা ছবিতে দেখা গেছে তাঁর হাতে রয়েছে একটি সুইস টাইমপিস। যার মাধ্যমে কিমের ওজনও মাপা যায়।
এনকে নিউজ মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদনে বলেছে, রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে তাঁর হাতে রয়েছে চিরকালীন আইডাব্লুসি স্কাফাউসেন পোর্টোফিনো। সিওলের একটি সাংবাদ সংস্থা বলেছেন ১২০০০ মার্কিন ডলারের এই ঘড়িটির একটি ছবি তুলনা করেছে। আর তারপরই সংবাদ সংস্থা দাবি করেছেন ৩৭ বছরের কিম রোগা হয়ে গেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে নভেম্বরে কিমের ওজন ছিল ১৪০ কিলোগ্রাম। ২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা দখলের পর থেকে তাঁর ওজন বেড়েছে প্রায় ৫০ কিলোগ্রাম। তবে বর্তমানে কিমের কত ওজন তা নিয়ে রয়েছে গুঞ্জন।
এনকে নিউজের সিনিয়র এক সংবাদ দাতা জানিয়েছেন কিম জং উন-র স্বাস্থ্যের ওপর বিশ্বের অনেকগুলি দেশের গোয়েন্দা সংস্থা নজর রেখেছে। কারণ কিম যদি অস্বাস্থ্যকর হন, তবে পর্দার আড়ালে কী চলছে? উত্তর কোরিয়ার শাসনভার কে সামলাচ্ছেন? এসপব জানতে বেশি আগ্রহী প্রতিপক্ষ দেশগুলি। পাশাপাশি গোয়েন্দাদের নজর রয়েছে দেশের পারমাণবিক পরিকল্পা ও প্রকল্পগুলির ওপরেও। সবমিলিয়ে স্বৈরাচারী ও গোপন শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কিত একাধিক বিষয়ের মধ্যেই পড়ছে কিমের স্বাস্থ্য।
গত ২০ দিন প্রকাশ্যে আসেননি কিম জং উন। অনুপস্থিত ছিলেন তাঁর দাদু উত্তর কোরিয়ার স্রষ্টা কিম দ্বিতীয় সাং এর জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও। তাতেই তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। সিওলের একটি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছে, কিমের কার্ডিওভাস্কুলার সার্জারির চিকিৎসা চলছে তার প্রমাণ দিচ্ছে তার হাতের সুইস ঘড়িটি। গত এক মাস ধরে উত্তর কোরিয়ার কোনও অনুষ্ঠানেই কিমকে দেখা যায়নি। অর্থনীতি নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের অনুষ্ঠানেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমে স্পষ্ট হচ্ছিল কিমের অনুপস্থিতি। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে রীতিমত ধুঁকছে মহামারির মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আর চিনের সঙ্গে বাণিজ্যের অভাবের কারণেই উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে। এই অবস্থায় কিমের স্বাস্থ্যের ওপরেই তীক্ষ্ণ নজর রেখে চলেছে গোয়েন্দারা।