তিব্বত ছিল হাতের তালু
লাদাখ প্রথম আঙুল
চিনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ বড় পরিকল্পনার অংশ
কোনগুলি বাকি চার আঙুল, কী বললেন পালিয়ে আসা তিব্বতী নেতা
বুধবারই পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সেনার মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ে বিবৃতি দিতে গি.য়ে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র দাবি করেছেন, গালওয়ান উপত্যকা, পুরোটাই চিনের এলাকা। ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের পর থেকে গত কয়েক দশকে কখনই এইরকম সরাসরি দাবি চিনের পক্ষ থেকে করা হয়নি। এই নিয়ে দারুণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের প্রধান। ভারতকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, 'তিব্বতে কী হয়েছিল তা থেকে শিক্ষা নিন'।
বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল তিব্বত অ্য়াডমিনিস্ট্রেশন-এর প্রেসিডেন্ট লোবসাং সাংগে দাবি করেছেন, ভারতের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বিষয়ে বিরোধে চিন সাম্প্রতিক যে পদক্ষেপগুলি নিচ্ছে তা আসলে বেজিং-এর এক দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনা। যার নাম হল 'ফাইভ ফিঙ্গার্স অব টিবেট' বা 'তিব্বতের পাঁচ আঙুল'। এযে 'তিব্বত কৌশলটির পাঁচটি আঙুলের' অনুসরণ করেছিলেন তা অনুসরণ করা যেতে পারে আর এই পরিকল্পনা করেছিলেন আর কেউ নন, গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের প্রতিষ্ঠাতা মাও জে দং। রূপায়ণ শুরু হয়েছিল তিব্বত দখলের মধ্য দিয়ে।
সাংগে-র মতে তিব্বত দখলের সময় মাও জে দং এবং চিনের তখনকার অন্যান্য নেতারা বলেছিলেন, 'তিব্বত হল হাতের পাতা, যা আমাদের অবশ্যই দখল করতে হবে, তারপরই আমরা এগোব পাঁচ আঙ্গুলের দিকে'। তিব্বতের নির্বাসিত নেতার মতে প্রথম আঙুলটিই হল লাদাখ। আর বাকি চারটি হল নেপাল, ভুটান, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশ। সাংগের দাবি ২০১৭ সালে ডোকলামের ঘটনাই হোক, কিংবা লাদাখে এখন যা চলছে - এৎ সবটাই ওই পরিকল্পনারই অংশ। এই বিষয়ে ভারতকে গত ৬০ বছর ধরে তিব্বতি নেতারা সতর্ক করে আসছেন। বর্তমানে লাদাখের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলেও নেপাল, ভুটান এবং অরুণাচল প্রদেশের উপরও দারুণ চাপ রয়েছে বলেই দাবি তাঁর।
চিনা নেতৃত্বের বিষয়ে ভারতকে সতর্ক করে সাংগে আরও বলেছেন, ভারতকে তিব্বতে কী ঘটেছিল তা জানতে হবে। নাহলে চিনা নেতৃত্বের মনোভাব, তাদের কৌশল পুরোপুরি বোঝা যাবে না। তারা এখন তালু পেয়ে গিয়েছে, এবার এক এক করে পাঁচটি আঙ্গুলের দিকে আসছে।