নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, ফের চিনের ১৩টি শহরে কড়া লকডাউন, গৃহবন্দি ৫ কোটি মানুষ

চিনের ১৩টি শহরে লকডাউন জারি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা দেশেই। চিনে করোনার বর্তমান ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জিলিন প্রদেশ।

গত ৫ দিনে চিনে করোনা আক্রান্তের (Corona infection in China) সংখ্যা প্রায় ৯ গুণ বেড়ে গিয়েছে। আর তাতেই নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ। এদিকে করোনার এই বড় লাফের জন্য ওমিক্রণের (Omicron infection) নতুন স্ট্রেনকেই দায়ী করছেন একটা বড় অংশের গবেষকেরা। গত ২৪ ঘন্টায় চিনে ৫ হাজার ২৮০টি নতুন করোনা কেস ধরা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে চিনের ১৩টি শহর ও কাউন্টিতে লকডাউন জারি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা দেশেই। চিনে করোনার বর্তমান ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জিলিন প্রদেশ। এছাড়া চিনের কারিগরি কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত শেনজেন প্রদেশেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। 

সূত্রের খবর, করোনার কারণে জারি করা লকডাউনের কারণে চিনের প্রায় ৫ কোটি নাগরিক ফের তাদের ঘরে বন্দি হয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ১৩টি শহরকে সম্পূর্ণভাবে লকডাউনের আওতায় রাখা হয়েছে। আরও কয়েকটি শহর আংশিক লকডাউনের অধীনে রয়েছে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনে ক্রমবর্ধমান করোনা আক্রান্তের কারণে দেশের কঠোর 'জিরো কোভিড পলিসি' নতুন করে কাজে লাগাতে হচ্ছে। শিল্পনগরী সাংহাইয়ে আবারও আবাসিক এলাকা ও অফিস চত্বরে কড়া নিয়ম জারি করা হয়েছে। শহরের স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জিলিন প্রদেশে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। অন্যান্য হাসপাতালে করোনা রোগীদের বাড়বাড়ন্ত ঠেকানোর কারণেই এই কাজ করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ৬ হাজার শয্যার অস্থায়ী হাসপাতাল চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Latest Videos

আরও পড়ুন- পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলরকে গুলি করে খুন, অকুস্থল পরিদর্শনে এলেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার

আরও পড়ুন- অসম-বাংলা সীমান্তে ট্রাক থেকে উদ্ধার অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙ্গারু, গ্রেফতার দুই পাচারকারী

আরও পড়ুন- বিএসএফ-র তৎপরতায় আটকাল পাচার, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাত ধরেই বাংলাদেশে ফিরে গেল ২ যুবতী

অন্যদিকে সাংহাইতে দুটি এবং শেনজেনে একটি হাসপাতালও ১২ মার্চের আগে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া করোনার বিস্তার ঠেকাতে সারাদেশে ব্যাপক হারে পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে এক বিষয় বিশেষ ভাবে লক্ষনীয় যে এর আগে ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি চিনে সর্বোচ্চ ১২ হাজার করোনা কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল। তারপর তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছিল। এদিকে চলতি বছরের শুরুতে আবারও করোনা মহামারির প্রভাব দেখতে পেল চিন। গত ২৮ ডিসেম্বর, চিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০৯। কিন্তু তারপর থেকেই ক্রমেই বাড়তে থেকেছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর তাতেই নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ। 

Share this article
click me!

Latest Videos

TMC ছেড়ে কেন BJP-তে শুভেন্দু! আজ নিজেই বলে দিলেন সব | Suvendu Adhikari | Bangla News
'আমি বলছি, আমার নাম করে লিখে রাখুন' ঝাঁঝিয়ে উঠে যা বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
Bangladesh-এ হিন্দুনেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার, মুক্তির দাবিতে Md Yunus-কে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
বাপ রে! ইঞ্জেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে ডাকাতি! আতঙ্কের ছায়া গোটা এলাকায় | Salt Lake Theft News Today
'উপনির্বাচনে জিতে আরও অত্যাচার বাড়াবে TMC' উদ্বেগ প্রকাশ Adhir Ranjan Chowdhury-র