ভয় ধরাচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেন, ৫ দিনে চিনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল ৯ গুণ

এর আগে ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি চিনে সর্বোচ্চ ১২ হাজার করোনা কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল। চলতি বছরের শুরুতে আবারও করোনা মহামারির বড় প্রভাব দেখতে পেল চিন।

গোটা দেশেই বর্তমানে আগের থেকে অনেকটাই কমেছে করোনা উদ্বেগ। ভারত সহ গোটা বিশ্বই বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ(Coronavirus infection) কমতে থাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। গত এক সপ্তাহে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে একদিকে যেখানে ভারতে করোনার প্রভাব কমছে, অন্যদিকে যে দেশ থেকে করোনাভাইরাসের প্রথম কেস এসেছিল, সেখানে টানা দুই বছর নিয়ন্ত্রণে থাকার পর আবারও সংক্রমণ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। গত তিন দিনের কথা বললে, চিনে আক্রান্তের (Coronavirus in China) সংখ্যা নয় গুণ বেড়েছে। 

এর আগে ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি চিনে সর্বোচ্চ ১২ হাজার করোনা কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল। চলতি বছরের শুরুতে আবারও করোনা মহামারির প্রভাব দেখতে পেল চিন। গত ২৮ ডিসেম্বর, চিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০৯। কিন্তু তারপর থেকেই ক্রমেই বাড়তে থেকেছে আক্রান্তের সংখ্যা। ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে প্রতিদিন চিনে সংক্রামিত সংখ্যা দুই শতাধিক হয়েছে। যেখানে ১০ মার্চ প্রথমবারের মতো আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০-এর উপরে পৌঁছেছে। আর তাতেই নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে উদ্বেগ। গত তিনদিনের কথা বললে, যেখানে শুক্রবার চিনে ৫৮৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিল, শনিবার এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯৩৮। এর পরে, রবিবার চিনে ১৪৩৬ করোনার কেস পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ২৮০-তে। অর্থাৎ যেখানে গত একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে, সেখানে শুক্রবার থেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে নয় গুণ।

Latest Videos

আরও পড়ুন- পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলরকে গুলি করে খুন, অকুস্থল পরিদর্শনে এলেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার

আরও পড়ুন- অসম-বাংলা সীমান্তে ট্রাক থেকে উদ্ধার অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙ্গারু, গ্রেফতার দুই পাচারকারী

আরও পড়ুন- বিএসএফ-র তৎপরতায় আটকাল পাচার, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাত ধরেই বাংলাদেশে ফিরে গেল ২ যুবতী

এদিকে গত দুই বছর ধরে কঠোর লকডাউনের নিয়ম মেনে ক্রমাগত করোনার কেস নিয়ন্ত্রণ করছে চিন। এই কারণে, এই ভাইরাসের বিপজ্জনক আলফা, বিটা, গামা এবং ডেল্টা রূপগুলিও চিনে খুব বেশি বিপর্যয় ঘটায়নি। একই সময়ে, ওমিক্রণ ভেরিয়েন্ট আসার পর চিনে জানুয়ারিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও তাও নিয়ন্ত্রণে থেকেছে। তবে এবার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওমিক্রনেরই একটি নতুন প্রতিরূপ। এখন করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের সাব-ভেরিয়েন্ট 'স্টিলথ ওমিক্রন' চিনে বেশি করোনা কেস ধরা পড়ার পিছনে একটি বড় কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে। চমকপ্রদ বিষয় হল এই উপ-ভেরিয়েন্টটি নতুন নয় এবং চিনের আগে আরও অনেক দেশও এর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। এখন দেখার এর প্রভাব কত দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারে জিনপিংয়ের দেশ। 

Share this article
click me!

Latest Videos

TMC ছেড়ে কেন BJP-তে শুভেন্দু! আজ নিজেই বলে দিলেন সব | Suvendu Adhikari | Bangla News
'আমি বলছি, আমার নাম করে লিখে রাখুন' ঝাঁঝিয়ে উঠে যা বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
Bangladesh-এ হিন্দুনেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার, মুক্তির দাবিতে Md Yunus-কে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
বাপ রে! ইঞ্জেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে ডাকাতি! আতঙ্কের ছায়া গোটা এলাকায় | Salt Lake Theft News Today
'উপনির্বাচনে জিতে আরও অত্যাচার বাড়াবে TMC' উদ্বেগ প্রকাশ Adhir Ranjan Chowdhury-র