সার্ধশতবর্ষে মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানালো কমিউনিস্ট চিনও। গান্ধী ও মাও জে দং একই সময়ের মানুষ। কিন্তু গান্ধী যেখানে অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী ছিলেন, সেখানে চেয়ারম্যান মাও ছিলেন সহিংস সংগ্রামের সমর্থক। তাই এতদিন গান্ধীবাদ সেই দেশে বিশেষ পাত্তা পায়নি। কিন্তু, যতদিন যাচ্ছে, ততই ভারতের এই প্রতিবেশী দেশে গান্ধীর কদর বাড়ছে।
মঙ্গলবার চিনের বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র গেঙ শুয়াং জানিয়েছেন, 'ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ও পথিকৃত হিসেবে, মহাত্মা গান্ধী বিশেষ অবদান রেখেছিলেন। তবে তাঁর চেতনা এবং কাজ শুধুমাত্র ভারতের জনগণকে অনুপ্রাণিত করেনি, বিশ্বের বুকে তিনি এক মূল্যবান আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারও রেখে গিয়েছেন।'
গেঙ মনে করিয়ে দেন গান্ধী বলেছিলেন, 'চিন এবং ভারত একই পথের সহযাত্রী, যাত্রাপথে সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিচ্ছে'। গান্ধীর সেই কথার সূত্র ধরেই তিনি জানান, ভারত ও চিন দুই দেশই এখন পরিকাঠামোগত উন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে দাঁড়িয়ে আছে। এই অবস্থায় ভারতের সঙ্গে চিন রাজনৈতিক বিশ্বাস ও সহযোগিতা বাড়াতে চায়।
প্রতি বছরের মতোই এই বছরও ২ অক্টোবর, জিন তাই আর্ট মিউজিয়াম ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গান্ধীর জন্মদিবস পালন করছে চিনে। এছাড়া বেজিং-এর চাওইয়াং পার্কে সেই দেশের বিখ্যাত ভাস্কর্যশিল্পী উইয়ান শিকুনের তৈরি গান্ধী মূর্তিতেও অনেকেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন। ২ অক্টোবর তারিখে এই পার্কের সারাদিন গান্ধীর বিভিন্ন বিখ্যাত উক্তি ও ভজন বাজানো হবে।