মাদার টেরেসাকে নিয়ে নয়া বিতর্ক? এক অন্ধকার পথের সন্ধান দিচ্ছে নতুন ডকুমেন্টারি

বেশ কয়েকজন মাদার বিশেষজ্ঞের ধারণা, আগের শতাব্দীর অন্যতম বিখ্যাত মহিলার সম্পূর্ণ মূল্যায়ন হিসাবে কাজ করা বেশ কঠিন। তবে তাঁর জীবনের কিছু অংশ তুলে ধরতে পেরেছে এই তথ্যচিত্র। 

মাদার টেরেসার উপর একটি নতুন ডকুমেন্টারি নিয়ে বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে নয়া হইচই। মাদারকে নিয়ে উঠেছে নতুন বিতর্ক। তা চিন্তার বিষয় হলেও ডকুমেন্টারিতে বেশ কিছু এমন প্রশ্ন ওঠানো হয়েছে, যা সহজে এড়িয়ে যাওয়ার জো নেই। তবে চর্চা শুরু হয়েছে বেশ জোরালো ভাবে, কারণ ব্যক্তির নাম মাদার টেরেসা। যিনি সকল গ্লানি, সকল খারাপলাগার উর্দ্ধে থাকা একটি মানুষ। বিশ্ব বন্দিত, বিশ্বচর্চিত এক ব্যক্তিত্ব। তথ্যচিত্র "Mother Teresa: For the Love of God"-এর ওপরে প্রকাশিত মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, মাদার টেরেসার কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সবচেয়ে বড় শত্রুদের বক্তব্যকে মূল্যায়ন করে এই ডকুমেন্টারি বানানো হয়েছে। 

বেশ কয়েকজন মাদার বিশেষজ্ঞের ধারণা, আগের শতাব্দীর অন্যতম বিখ্যাত মহিলার সম্পূর্ণ মূল্যায়ন হিসাবে কাজ করা বেশ কঠিন। তবে তাঁর জীবনের কিছু অংশ তুলে ধরতে পেরেছে এই তথ্যচিত্র। তিন পর্বের সিরিজ, যা নয়ই মে স্কাই ডকুমেন্টারিতে প্রচারিত হবে। এই তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে মাদার টেরেসা ক্যাথলিক চার্চের অনেক দোষ ও কলঙ্ক ঢেকে রেখেছিলেন। অনেক সময় তাঁকে ব্যবহারও করা হয়েছিল ক্যাথলিক চার্চের ভাবমূর্তি বাঁচিয়ে রাখতে। 

Latest Videos

"তার আধ্যাত্মিকতা ক্রুশে যিশুর সাথে সম্পর্কিত ছিল," বলেছেন মেরি জনসন, যিনি ২০ বছর ধরে মাদার টেরেসার সাথে কাজ করেছিলেন। ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "তিনি বিশ্বাস করতেন যে যীশু দরিদ্র, তাই দরিদ্র হওয়া ভালো। এটা সিজোফ্রেনিয়া, আপনি জানেন।"

একটি ঘটনার উদ্ধৃতি দিয়ে, বেসামরিক কর্মকর্তা নবীন চাওলা, যিনি মাদার টেরেসার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখার দাবি করেছেন, তিনি বলেছেন যে "তিনি যখন এমন কিছু জমির জন্য একটি আঞ্চলিক লেফটেন্যান্ট-গভর্নরের কাছে গিয়েছিলেন যেখানে তিনি কুষ্ঠরোগীদের যত্ন নিতে পারেন, তখন তিনি গভর্নরকে রীতিমত জটিলতায় ফেলেন ও তিনি যে পরিমাণ জমি চেয়েছিলেন তার দ্বিগুণেরও বেশি জমি পেয়ে যান। তিনি একজন কৃষকের মতো বুদ্ধিমান ছিলেন,"।

আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, মাদার টেরেসার জীবনের শেষ দশ বছর বেশি সক্রিয়তার মধ্যে কেটেছে। ক্যাথলিক গির্জার যাজক শিশু শ্লীলতাহানির সংকট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মাদারকে ব্যবহার করেছেন। মাদার টেরেসাও নাকি তাঁদের সহায়তা দিয়ে গিয়েছেন। 

১৯১০ সালের আগস্টে, অ্যাগনেস গনশা বোজাক্সিউ ম্যাসেডোনিয়ার স্কোপজেতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন আলবেনিয়ান। তিনি যখন বারো বছর বয়সে ঈশ্বরের কাছ থেকে একটি দুর্দান্ত আহ্বান অনুভব করেছিলেন। তিনি আঠারো বছর বয়সে লরেটো সিস্টার্সে প্রবেশ করেন। পরে তিনি ভারতে চলে আসেন এবং সন্ন্যাসিনী হন। মাদার তেরেসা সাতই অক্টোবর, ১৯৫০ তারিখে হলি সি থেকে তার নিজস্ব আদেশ "দ্য মিশনারিজ অফ চ্যারিটি" প্রতিষ্ঠার অনুমোদন পান, যা এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি ১৯৯৭ সালের পাঁচই সেপ্টেম্বর মারা যান।

Share this article
click me!

Latest Videos

আজ রাজ্যে উপনির্বাচনের (By Election) রেজাল্ট আউট, সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগণনা (Vote Counting)
‘সরকারকে প্রশ্ন করলেই সরকার উলঙ্গ হয়ে যাবে!’ বক্তব্য রাখতে না দেওয়ায় বিস্ফোরক Sajal Ghosh
'মোদী বাংলার কৃষকদের একটা পয়সাও দেয় না' বিতর্কিত মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
'মাননীয়া আপনার শাড়িতে দুর্নীতির কালো ছোপ ছোপ দাগ' মমতাকে (Mamata) এ কী বললেন অগ্নিমিত্রা ?