চাঁদের মাটিতে ছড়িয়ে রয়েছে বিক্রমের ধ্বংসস্তূপ, ছবি প্রকাশ করল নাসা

  • খোঁজ মিলল বিক্রমের ধ্বংসস্তূপের
  • নাসার ক্যামেরায় ধরা পড়ল ছবি
  • চন্দ্রযান ২ অভিযানের ল্যান্ডার বিক্রম
  • গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদে সফট ল্যান্ডিং করার কথা ছিল বিক্রমের
     

debamoy ghosh | Published : Dec 3, 2019 3:54 AM IST / Updated: Dec 03 2019, 09:27 AM IST

নিখোঁজ হওয়ার প্রায় তিন মাস পর খোঁজ মিলল চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার বিক্রমের। এ দিন নাসার তরফে প্রকাশিত ছবিতে দাবি করা হয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠে যেখানে বিক্রম আছড়ে পড়েছিল, সেই অংশের খোঁজ পেয়েছে তারা। ওই ছবিতেই ধরা পড়েছে বিক্রমের ধ্বংসস্তূপেরও। গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং করার ঠিক আগের মুহূর্তে ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় বিক্রমের। 

একটি বিবৃতি প্রকাশ করে নাসার তরফে জানানো হয়েছে, 'বিক্রম ল্যান্ডার-এর খোঁজ মিলেছে।' নাসার লুনার রেকোনেস্যান্স অরবিটার বা এলআরও ক্যামেরায় বিক্রমের ধ্বংসস্তূপের ছবি ধরা পড়েছে।  যে ছবিটি নাসা প্রকাশ করেছে, তাতে নীল এবং সবুজ রংয়ের বেশ কয়েকটি বিন্দু দেখা যাচ্ছে। নাসার দাবি, চাঁদের মাটিতে যে জায়গাগুলিতে বিক্রম ল্যান্ড করতে গিয়ে সজোরে আছড়ে পড়েছিল, নীল বিন্দু দিয়ে সেই অংশগুলি বোঝানো হয়েছে। আর সবুজ বিন্দুর মাধ্যমে চাঁদের বুকে বিক্রমের ছড়িয়ে, ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসস্তূপগুলিকে বোঝানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন- খোঁজ মিলল ল্যান্ডার বিক্রমের, এবার শুধু যোগাযোগের অপেক্ষা

আরও পড়ুন- নতুন উদ্যমে ইসরো, এবার লক্ষ্য মহাকাশে নিজস্ব স্পেশ স্টেশন

এছাড়াও বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনমুগা সুব্রহ্মণ্যম বেশ কিছু ধ্বংসস্তূপ চিহ্নিত করেছে, যেগুলিকে 'এস' দিয়ে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু এই  শনমুগা সুব্রহ্মণ্যম সম্পর্কে নিজেদের জারি করা বিবৃতিতে বিশেষ কিছু বলেনি নাসা। 

 

 

নাসার বিবৃতিতে অবশ্য ইসরোর চন্দ্রযান ২ অভিযানের ঢালাও প্রশংসা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিক্রম ল্যান্ডারকে হারালেও চাঁদের মাটির এত কাছাকাছি পৌঁছতে পারাটা একটি অসাধারণ কৃতিত্ব। 

গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটি ছোঁয়ার মাত্র ২.১ কিলোমিটার আগে বিক্রমের সঙ্গে ইসরোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। ইতিহাস তৈরির একেবারে কাছে গিয়েও স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ইসরোর বিজ্ঞানীদের। এর কয়েক দিন পর চন্দ্রযান ২-এর অরবিটারের ক্যামেরায় বিক্রমের থার্মাল ইমেজ ধরা পড়েছিল। যদিও বিক্রমের সঙ্গে আর যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেননি ইসরোর বিজ্ঞানীরা। 
 

Share this article
click me!