সংক্ষিপ্ত
- মহাকাশে স্পেশ স্টেশন বানাবে ইসরো
- ২০২০ সাল থেকে শুরু হবে কাজ
- ভারতীয় স্পেস স্টেশনের ওজন প্রায় ২০ টন
- স্পেস স্টেশনের নকশা বানাতে মহাকাশে পাড়ি দেবে ২টি স্যাটেলাইট
চন্দ্রায়ন-২ পুরোপুরি সফল হয়নি, কিন্তু সেই ব্যর্থতা নিয়ে থেমে থাকতে রাজি নয় ইসরো। এবার মহাকাশে নিজস্ব স্পেশ স্টেশন বানাতে চলেছেন ভারতের মহাকাশা গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর বিজ্ঞানীরা। আগামী বছর ডিসম্বের থেকেই শুরু হয়ে যাবে এই স্পেস স্টেশন বানানোর কাজ।
তবে কাজটা যে সোজা নয় তা নিজেই জানাচ্ছেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিভন। কারণ পৃথিবীর সর্বনিম্ন কক্ষপথে একটি আস্ত বাড়ি বানানো মোটেই মুখের কথা নয়। পৃথিবী থেকে পাড়ি দেওয়া মহাকাশচারীদর থাকার ঘর কর করতে হবে এখানে। যেখানে থাকতে হবে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি যা যেকোন মহাজাগতিক রশ্মির বিকিরণ থেকে স্পেশ স্টেশনকে রক্ষা করার মতো পরিকাঠামো। ভারসাম্য রাখতে হবে স্টেশনের ভেতরে ও বাইরে তাপমাত্রার। সব মিলিয়ে কাজটা খুবই কঠিন।
স্পেস স্টেশনের নকশা বানাতে মহাকাশে পাড়ি দেবে ২টি স্যাটেলাইট। ই সরোর চেয়ারম্যান কে শিভন জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মালমশলা নিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথে জড়ো করার চেষ্টা হবে। মহাকাশবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট। এই স্প্যাডেক্সের কাজ করবে এই দুটি স্যাটেলাইট। পিএসএলভি রকেটে করে মহাকাশে পাঠান হবে রকেট ২টিকে। এরপর তাদের মহাকাশে জোড়া লাগানোর কাজ চালানো হবে। তবে এটাই সবথেকে চ্যালেঞ্জের, কারণ মহাকাশে তীব্র গতিবেগ কম করে জোড়া লাগানো কঠিন কাজ।
নতুন মিশনের জন্য কেন্দ্রের থেকে ইতিমধ্যে আর্থিক সাহায্য পেয়েছে ইসরো। ভারতীয় স্পেস স্টেশনের ওজন প্রায় ২০ টন হবে।
এরআগে আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান, ইউরোপ ও কানাডা এই ৫টি দেশ মিলে প্রথম ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন মির্মান করে। যা বানাতে ১৩ বছর সময় লেগেছিল।