বিয়েটা সেরেই ফেললেন নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী সমাজকর্মী মালালা ইউসুফজাই। মধ্য ইংল্যান্ডের বার্মিংহ্যামে মঙ্গলবার চার হাত এক হল।
বিয়ে না করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এই বছরের জুলাই মাসে। তবে সেই আপত্তি হয়ত ধোঁপে টেকেনি। অবশেষে বিয়েটা(married) সেরেই ফেললেন নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী (Nobel Peace Prize winner) সমাজকর্মী মালালা ইউসুফজাই (Malala Yousafzai)। মধ্য ইংল্যান্ডের বার্মিংহ্যামে (Birmingham) মঙ্গলবার চার হাত এক হল। পরে বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি টুইট করেন মালালা। ছবি পোস্ট করে তিনি জানান, এটি তাঁর জীবনের স্মরণীয় দিন। আসির ও তিনি জীবনের শ্রেষ্ট বন্ধনে আবদ্ধ হলেন।
২০১২ সালে পাকিস্তানে মেয়েদের শিক্ষার প্রচারক ও পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত মালালাকে মাথায় গুলি করে তালিবানরা। ১৫ বছর বয়সে গুলিবিদ্ধ হয়ে কোনও ক্রমে প্রাণে বাঁচেন তিনি। ২৪ বছর বয়েসী এই সাহসিনী বিয়ে করেন আসির মালিককে। তবে নিজের স্বামীর পরিচয় সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানাননি তিনি।
খুব ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে সেই ছবি পোস্ট করেন মালালা। এই নোবেল পুরস্কারজয়ী কন্যা নিজের স্বামীর নাম ছাড়া আর কোনও তথ্যই শেয়ার করেননি সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তাকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফরম্যান্স সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার আসের মালিক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যদিও, সেই সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনও সূত্র থেকে নিশ্চয়তা মেলেনি।
মালালা তার সাহস এবং মেয়েদের অধিকারের পক্ষে কথা বলার জন্য বিশ্বের অনেক জায়গায় বিশেষ করে পশ্চিমের দেশগুলিতে সম্মানিত হয়েছেন। তবে তাঁর নিজের দেশ পাকিস্তানে খুব একটা গ্রহণযোগ্যতা পাননি তিনি। উল্লেখ্য, এই বছরের জুলাই মাসে, মালালা ব্রিটিশ ভোগ ম্যাগাজিনকে বলেছিলেন যে তিনি নিশ্চিত নন যে তিনি কখনও বিয়ে করবেন কিনা। তিনি বলেছিলেন বিয়ে বিষয়টি তাঁর কাছে ধোঁয়াশার। দুজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের একসঙ্গে থাকতে গেলে কেন কোনও বিয়ের কাগজে সই করতে হবে, তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁর এই মতামত বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন মানুষের কাছে সমালোচিত হয়েছিল।
NSA level meet-পাকিস্তান-চিন কোণঠাসা,ভারতের উদ্যোগে নিরাপত্তা ইস্যুতে এককাট্টা সাত দেশ
Modi in Approval ratings-বিশ্বনেতাদের ব়্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর, জনপ্রিয়তার শীর্ষে মোদী
Global Warming-২০৩০ সালের মধ্যে জলের তলায় ডুববে কলকাতা, তালিকায় বড় বড় শহরের নামও
একাধিকবার কাশ্মীরের মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছেন মালালা ইউসুফজাই। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছিলেন 'আমি কাশ্মীরের জন্য চিন্তা করি কারণ দক্ষিণ এশিয়া আমার বাসভূমি- যে বাসভূমিতে কাশ্মীরি-সহ ১.৮ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করেন। আমরা বিভিন্ন সংষ্কৃতি, ধর্ম, ভাষাভাষির প্রতিনিধিত্ব করি, এবং আমি বিশ্বাস করি আমরা সকলেই কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারি। আমরাই এই সকল মানুষের তরফে এই বিশ্বকে দেওয়া উপহারের মর্ম উপলব্ধি করতে পারি বলেও আমার বিশ্বাস।'