চলতি বছর সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার জিতে নিলেব ফরাসি সাহিত্যিক অ্যানি এরনো। সাহসিকতা আর তীক্ষ্ণ লেখনি শক্তির জন্য তিনি এই পুরষ্কার পেলেন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাই স্থান পায় তাঁর লেখায়। সহজ আর সরল ভাষায় আপোসহীন , দৃঢ়় লেখনি শক্তি অ্যানিকে বর্তমান লেখক আর লেখিকাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে রাখে।
চলতি বছর সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার জিতে নিলেব ফরাসি সাহিত্যিক অ্যানি এরনো। সাহসিকতা আর তীক্ষ্ণ লেখনি শক্তির জন্য তিনি এই পুরষ্কার পেলেন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাই স্থান পায় তাঁর লেখায়। সহজ আর সরল ভাষায় আপোসহীন , দৃঢ়় লেখনি শক্তি অ্যানিকে বর্তমান লেখক আর লেখিকাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে রাখে। তাঁর লেখার মূল বিষয় হল বৈষম্য। সামাজিক শ্রেণী বিন্যাস ক্ষেত্রের মানুষের যন্ত্রণা, হিংসা আর অক্ষমতা, অসম্মানকেই তিনি তাঁর লেখার প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে ৮২ বছরের অ্যানি এরনকে তাঁর সাহস আর দক্ষতা জন্য সম্মানিত করা হয়েছে। তাঁর আপোসহীন লড়াইকেও স্বীকৃতি দিয়েছে নোবেল কমিটি। পাশাপাশি বলা হয়েছে, তিনি ব্যক্তিগত স্মৃতির শিকড় আর বিচ্ছিন্নতা ও সম্মিলিত সংযম উন্মোচন করেছেন। এই ঘোষণার পরই সুইডিস টেলিভিশনে একটি সাক্ষাৎকালে অ্যানি বলেন এটা তাঁর জন্য খুব বড় সম্মান। এটি একটি মহান দায়িত্ব। তিনি বলেছেন এই পুরষ্কার তাঁর দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল। পাশাপাশি তাঁর ওপর আরও প্রত্যাশা বাড়ল সাধারণ মানুষের।
অ্যানি এরনো ২০টিরও বই লিখেছেন। তাঁর লেখা অনেকগুলি বই রয়েছে যেগুলি ফ্রান্সের স্কুলে পাঠ্য বই হিসেবে রয়েছে। আধুনির ফ্রান্সের জীবনের ও সূক্ষ্ণ সূক্ষ্ণ পার্থক্য তুলে ধরেন তিনি।
এরনো জানিয়েছেন সমাজিক বৈষম্যই তাঁর চোখ খুলে দিয়েছেন। তাই তিনি সহস অর্জন করে তাঁর প্রবন্ধ ও সাহিত্য রচনা করতে পেরেছেন। তিনি আরও বলেন ভাষাকে তিনি ছুরির মত ব্যবহার করতেই পছন্দ করেন। তাঁর ছুরি সমাজের কল্পনার পর্দা ছিঁড়ে ফেলতে সাহায্য করে। তিনি জানিয়েছেন তাঁর উত্তরাখধিকারীদের জন্য তিনি সর্বদা রেখে যাচ্ছেন সুন্দর শব্দগুচ্ছ। আর নিঃশর্ত প্রশংসা। তাই প্রতিবাদের বিকল্প পথ।
প্রতিবছরই ৬টি বিষয় নোবেল পুরষ্কার ঘোষণা করা হয় । তবে সবথেকে বেশি উৎসহ থাকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার ও সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ নিয়ে। নোবেল শান্তি পুরষ্কার ঘোষণা করা হবে আগামী ৭ অক্টোবর। তালিকায় রয়েছে মহম্মদ জুবেইর ও প্রতীক সুরির নাম। যা নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট উৎসহ রয়েছে।