উত্তর কোরিয়ার এই মিসাইল লঞ্চের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। জাপানের ওপর দিয়ে এই মিসাইল পরীক্ষা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থাকে বিঘ্নিত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি।
উত্তর কোরিয়া প্রতিনিয়ত অস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে। আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার আপত্তি সত্ত্বেও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। গত দুই সপ্তাহে এই দেশ ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়া আবারও পূর্ব সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীকে উদ্ধৃত করে নিউ এজেন্সি এ খবর দিয়েছে। দুই দিন আগে উত্তর কোরিয়া জাপানে মধ্যবর্তী পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম উত্তর কোরিয়া এ কাজ করল।
বুধবার ভোরে কোরীয় উপদ্বীপের কাছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর মাধ্যমে জাপানে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবারও নিজেদের শক্তি দেখানোর চেষ্টা করল উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছেন, "আমাদের সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থা উত্তর কোরিয়ার প্রতি সব উপায়ে নজর রাখছে।" সকাল ৬টার দিকে পিয়ংইয়ংয়ের সামসোক এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর আগে মঙ্গলবারও বিস্ফোরক পদক্ষেপ নেয় দক্ষিণ কোরিয়া। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার F-16K বিমান ব্যবহার করা হয় এবং আকাশ থেকে ভূপৃষ্ঠে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এ বছর উত্তর কোরিয়া রেকর্ড সংখ্যক অস্ত্রের পরীক্ষা করেছে।
উত্তর কোরিয়া পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জাপানের ওপর দিয়ে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার দুদিন পর এই পরীক্ষাটি করা হলো। জেসিএস এক বিবৃতিতে বলেছে যে দেশের নজরদারি এবং সতর্কতা জোরদার করার জন্য এই পদক্ষেপ। উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সবরকম সহযোগিতা করতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে এই তথ্য। ক্ষেপণাস্ত্রটি স্থানীয় সময় সকাল ৬.০১ মিনিট থেকে ৬.২৩ মিনিটের মধ্যে ছোঁড়া হয়েছিল। তবে জেসিএস এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছে।
উত্তর কোরিয়ার এই মিসাইল লঞ্চের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। জাপানের ওপর দিয়ে এই মিসাইল পরীক্ষা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থাকে বিঘ্নিত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। বুধবার ডিপিআরকে-তে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ বলেন, "আমরা উদ্বেগের সাথে ডিপিআরকে (ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া) ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি উল্লেখ করেছি।"