করোনা আক্রান্ত ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে অন্যতম স্পেন। ইতিমধ্যে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজারের বেশি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার বদলে নতুন করে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে স্পেনে। এই অবস্থায় প্রায় এক লক্ষ মিঙ্ক হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিল দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
ইউরোপে বেজি জাতীয় এক প্রকার জলজ প্রাণীকে মিঙ্ক বলা হয়। এই প্রাণীকে বেশ কিছু দেশে পশমের জন্য খামারে প্রতিপালন করা হয়। স্পেনের আরাগন প্রদেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের জন্য এই মিঙ্ককেই দায়ী করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ওই প্রদেশের এক মিঙ্ক প্রতিপালকের স্ত্রীর শরীরে প্রথমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। এরপরেই ওই খামারের মালিক সহ একাধিক কর্মচারীর কোভিড ১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
খামার মালিকের পরিবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই মিঙ্কগুলিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। চলতি সপ্তাহেই তাদের করোনা পরীক্ষা হয়। যাতে দেখা যায় ৯২,৭০০টি মিঙ্কের মধ্যে ৮৭ ভাগই করোনা পজিটিভ। এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামলাতে মিঙ্কগুলিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে স্পেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
মানুষের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতেই মিঙ্কগুলিকে হত্যা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আরাগনের কৃষিমন্ত্রী হোয়াকিন ওলোনা। তবে প্রাণী থেকে সরাসরি মানুষের মধ্যে এই রোগ সংক্রমমের কোনও ঝুঁকি রয়েছে কিনা, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে খাবারের কর্মীদের থেকে প্রাণীগুলি সংক্রমণের শিকার হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবার প্রাণীগুলোর মাধ্যমে খামারের কর্মীদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এর আগে ডেনমার্ক আর নেদারল্যান্ডসের মিঙ্ক খামারে কর্মীদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। নেদারল্যান্ডসে বিভিন্ন মিঙ্ক খামারে কর্মীদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার পর গত কয়েকমাসে হাজার হাজার মিঙ্ক হত্যা করা হয়েছে। মে মাসে নেদারল্যান্ডস সরকার মিঙ্ক থেকে খামার কর্মীদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা করার পর প্রাণীগুলিকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।