২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরকে একটি বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী ধারা ৩৭০ প্রত্যাহার করার ভারতের সিদ্ধান্তের পরে ভারত-পাক বাণিজ্য সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তবে এবছরের বন্যার কারণে ফল ও শাকসবজি সরাবরাহ ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় তিন বছর পর ফের একবার ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের কথা ভাবছে পাকিস্তান।
ভারতের সঙ্গে ফের একবার বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের চিন্তাভাবনা পাকিস্থানের। বন্যার জেরে যাবতীয় ফসলের ব্যপক ক্ষতি হওয়ায় চাপে পাকিস্তানের অর্থনীতি। এমত অবস্থায় ভারত থেকে শাকসবজি ও অন্যান্য ভোজ্য সামগ্রী আমদানীর কথা বিবেচনা করার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল।
কাশ্মীর সমস্যা, বন্যা ইত্যাদি নানা কারণে বেলুচিস্তান, সিন্ধু এবং দক্ষিণ পাঞ্জাব থেকে শাকসবজির সরবরাহ ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চর চর করে বেড়েছে খাদ্য শষ্য ও শাকসবজির দাম। এই অবস্থায় বেশবাসীকে মুদ্রাস্ফিতির হাত থেকে রক্ষা করতেই তিন বছর পর আবারও ইসলামাবাদ-নয়াদিল্লি বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে ভাবছে পাকিস্তান।
একটি বেসরকারি রেডিও চ্যানেলের খরব অনুসারে, এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে পাক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বলেছেন,"দেশকে মুদ্রাস্ফিতির হাত থেকে বাঁচাতে যদি এই পদক্ষেপ নিতে হয় তো নেওয়া হবে।"
২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরকে একটি বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী ধারা ৩৭০ প্রত্যাহার করার ভারতের সিদ্ধান্তের পরে ভারত-পাক বাণিজ্য সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তবে এবছরের বন্যার কারণে ফল ও শাকসবজি সরাবরাহ ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় তিন বছর পর ফের একবার ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের কথা ভাবছে পাকিস্তান।
২০২১ সালের মার্চ মাসে, অর্থনৈতিক সমন্বয় কমিটি (ECC) ঘোষণা করেছিল যে এটি বেসরকারী খাতকে ভারত থেকে সাদা চিনি এবং ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে তুলা আমদানি করার অনুমতি দেবে। যাইহোক, প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি যারা এখন একটি জোট সরকারে রয়েছে তাদের কঠোর সমালোচনার পর কয়েক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের সাথে বাণিজ্য পুনরায় শুরু করার একটি প্রস্তাব বিবেচনা করছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জল্পনা প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে "ভারতের সাথে বাণিজ্যের বিষয়ে পাকিস্তানের নীতিতে কোনও পরিবর্তন নেই।" অপরদিকে লাহোর মার্কেট কমিটির সেক্রেটারি শেহজাদ চিমার মতে, তোরখাম সীমান্তে (আফগানিস্তানের সাথে) প্রতিদিন একশ কনটেইনার টমেটো এবং পেঁয়াজ আসছে, যার মধ্যে দুটি কন্টেইনার টমেটো এবং একটি কন্টেইনার পেঁয়াজ লাহোর শহরে আনা হচ্ছে। দৈনিক ভিত্তিতে এবং পাঞ্জাবের প্রাদেশিক রাজধানীতে চাহিদা মেটাতেই এই ফসল যথেষ্ট নয়।
আরও পড়ুন - ভারতের পাক বধের ক্ষণে জাতীয় পতাকা হাতে নিতে অস্বীকার জয় শাহ-র! ভাইরাল ভিডিও-তে চরম বিতর্ক
চিমা আরও জানান সম্প্রতি ইরান সরকার আমদানি ও রপ্তানির ওপর কর বাড়ানোর কারণে ইরান থেকে তাফতান সীমান্ত (বেলুচিস্তান) হয়ে সবজি আমদানি সম্ভব নয়। এমত অবস্থায় ভারত থেকে আমদানি ছাড়া সরকারের হাতে আর কোনও পথ নেই। বন্যায় সিন্ধুর অধিকাংশ বাগান ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় আগামী দিনে দাম বাড়বে খেজুর ও কলারও। ইতিমধ্যে বেলুচিস্তান বা অন্যান্য এলাকা থেকে আপেলের সরবরাহও বন্ধ হয়েছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার লাহোর বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকায় ও প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকায়। আগামী দিনে এই মূল্য আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - কীভাবে এমএস ধোনির মত 'কুল' হয়ে উঠলেন হার্দিক পান্ডিয়া, জানালেন রোহিত শর্মা