সংক্ষিপ্ত

সোশ্যাল মিডিয়ায় জয় শাহকে ট্যাগ করে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, “জাতীয় পতাকা ধরতে না চাওয়া শাসকগোষ্ঠীর বৃহত্তম ভণ্ডামির উদাহরণ। ওরা নাটুকে, মূল্যবোধহীন, জুমলা নির্ভর, আদৌ দেশাত্মবোধ নেই।” 

এশিয়া কাপ ম্যাচে ভারতীয় বোলারদের দাপটে ১৪৭ রানে গুটিয়ে গেল পাকিস্তানের ইনিংস। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতালেন হার্দিক পান্ডিয়া। এছাড়াও তিন-তিনটে উইকেট নেন হার্দিক। ম্যাচের সেরা হলেন তিনি। ভুবনেশ্বর কুমারের মিডিয়াম পেসেও কুপোকাত হয়ে যায় বাবর আজমের দল।

ভারত-পাক টানটান লড়াইয়ের সেই ম্যাচে প্রথমত উপস্থিত ছিলেন না বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই প্রশ্ন চলতে চলতেই ঘটে গেল আরেকটি অঘটন! অন্যান্য সকল দর্শকের মতো ভারতীয় ক্রিকেটারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখে গ্যালারিতে বসে বারবার করতালিতে মেতে উঠছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পুত্র জয় শাহ। 

এমনিতেই রাজনীতির ময়দানে যখন পরিবারতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেসকে বারবার খোঁচা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তখন বারবারই উঠে আসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পুত্র জয় শাহর নাম। তিনি আচমকা বিসিসিআই সচিব হলেন কী করে? এই প্রশ্ন বহুবার তুলেছেন বিরোধীরা। আর গতকালের ম্যাচে একটি ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিওতে তাঁর কয়েক সেকেন্ডের আচরণ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গেল সারা দেশে। কী ছিল সেই ভিডিওতে? 

দেখা যায়, ক্রিকেটের গ্যালারিতে সবাই ভারতীয়দের জয় উদযাপনে হাততালি, বাহবা দিতে ব্যস্ত। জনৈক এক ব্যক্তি সেই আনন্দের মুহূর্তে জয় শাহর দিকে জাতীয় পতাকা এগিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু, একি! ভিডিওতে দেখা গেছে, পতাকাটি হাতে না নিয়ে প্রত্যাখ্যান করে নেতিবাচকভাবে মাথা নাড়িয়ে কেবল হাততালিতেই ব্যস্ত রইলেন জয় শাহ।
 


শাহ-পুত্রের এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ বিরোধী দলের নেতা সহ অধিকাংশ ভারতীয়রা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক নেটিজেন-এর বক্তব্য, ''এই কাজ যদি কোনও অবিজেপি নেতা করত, তাহলে বিজেপি আইটি সেল তাঁকে দেশদ্রোহী বলে দাগিয়ে দিত। মোদী স্তাবক মিডিয়া গোটা দিন ধরে সেই নিয়ে চর্চা করত। কিন্তু, সৌভাগ্যবশত উনি শাহেনশাহর ছেলে জয় শাহ। জয় শাহকে ট্যাগ করে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, “জাতীয় পতাকা ধরতে না চাওয়া শাসকগোষ্ঠীর বৃহত্তম ভণ্ডামির উদাহরণ। ওরা নাটুকে, মূল্যবোধহীন, জুমলা নির্ভর, আদৌ দেশাত্মবোধ নেই।”

আরও পড়ুন-
মহার্ঘভাতা দিতে না পারলে ৬০ হাজার টাকা করে পুজোর অনুদান কেন? রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট
বাবা বলেছিল, “বিশ্বের সামনে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত শুনতে চাই”, জুডোর লড়াইয়ে বিশ্বসেরা মণিপুরের লিনথোই চানাম্বাম