করোনার জেরে লকডাউনের পথে পাকিস্তানও, বন্ধ হল আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল

  • ভারতের চেয়ে পাকিস্তানে করোনা সংক্রমণের ঘটনা দ্বিগুণ
  • স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত নয় মানছেন ইমরান খান
  • পরিস্থিতি সামল দিতে আন্তর্জাতিক বিমানে নিষেধাজ্ঞা
  • আগামী ২ সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে বিমান পরিষেবা

Asianet News Bangla | Published : Mar 22, 2020 3:39 AM IST / Updated: Mar 22 2020, 09:12 AM IST

করোনা ভাইরাসের থাকায় জনজবীন বিপর্যস্ত ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানেরও। হু হু করে পাক ভূখণ্ডে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।  ভারতের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী এখন রয়েছে পাকিস্তানে। বর্তমানে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৭০০ গণ্ডি। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ঘটেছে ২০০ বেশি মানুষের শরীরে। মারণ করোনা প্রাণও কেড়েছে পাক জনতার। ভারতের মত পাকিস্তানেও বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের থেকেই ছড়িয়েছে মারণ ভাইরাস। আমাদের মতই করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে দেশটি। এই পরিস্থিতিতে সাবধানতা অবলম্বন করতে আন্তর্জাতিক বিমানের ওঠানামার উপর নিষেধাজ্ঞা দারি করল ইমরান খানের সরকার।

শনিবার রাত ৮টা থেকে ২ সপ্তাহের জন্য আন্তর্জাতিক বিমানের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পাক সরকার। সূত্রের খবর, আপাতত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত পাকিস্তানের মাটিতে কোনও বিদেশি বিমান ঢুকতে দেওয়া হবে না। পরে পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি  পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের যেসব বিমান দেশের বাইরে রয়েছে, সেগুলিকে দ্রুত ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

এদেশে আর নামতে পারবে না বিদেশের বিমান, ১২০ জন ভারতীয়কে নিয়ে ফিরতে হল ডাচ বিমানকে

করোনায় প্রতি ১০ মিনিটে মারা যাচ্ছেন ১ জন, ৫০ জনের শরীরে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এক ঘণ্টায়

নিরাপদ দূরত্বেও আর রক্ষে নেই, এখন বাতাসেও ভাসতে শুরু করেছে মারণ করোনা ভাইরাস

 

এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানে ৪,০৪৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ রয়েছে কিনা তার পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে খেটে খাওয়া মানুষের কথআ ভেবে এখনই দেশের সর্বত্র কারফু জারি করার কথা ভাবছেন না প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যদিও অদূর ভূবিষ্যেত দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়লে লাকডাউনের পথেই যেতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে পাক সরকার। 

ইউরোপের দেশগুলির মত তাদের  স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত নয় সেটা মনে করিয়ে দেশবসীকে আগামী দিনগুলিতে বাড়ি থেকে না বেরোনের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে পাকিস্তানে ৯টি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে সব মিলিয়ে শয্যা সংখ্যা রয়েছে ১৬০০টি। পরিস্থিতি সামলদিতে ইমরান প্রশাসন আগামী কয়েকদিন দেশে ট্রেনের সংখ্যাও কমিয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানে সিন্ধ প্রদেশে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মিলেছে। এই প্রদেশে করোনা সংক্রমণ ঘটেছে ৯০ জনের শরীরে।

Share this article
click me!