দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সাহারা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে। এই স্টেশনটি শাহজাদপুর এবং নবাবশাহর মধ্যে অবস্থিত। এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার পাকিস্তানের শাহজাদপুর ও নবাবশাহর মধ্যে সাহারা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে রাওয়ালপিন্ডিগামী হাজারা এক্সপ্রেসের ১০টি বগি উল্টে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে ১৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। উদ্ধার অভিযান চলছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রেনটিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ ছিলেন। জানা গেছে, ট্রেনটি করাচি থেকে পাঞ্জাব যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
পাকিস্তানি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডি যাওয়ার সময় হাজারা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রবিবার শাহজাদপুর ও নবাবশাহের মধ্যে লাইনচ্যুত হয়। সাংঘরের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) এর মতে, দুর্ঘটনায় ১৫ জন মারা গেছে, এবং ৫০ জন আহত হয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহতদের নবাবশাহ পিপলস মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে কর্মকর্তারা বলছেন, লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ এখনো জানা যায়নি। রেলওয়ের বিভাগীয় সুপার মাহমুদুর রহমান জানান, বিস্তারিত তথ্য ক্রমশ পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, বগি থেকে যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য বর্তমানে উদ্ধার তৎপরতা চলছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর আশেপাশের হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ডিএস নিশ্চিত করেছেন, “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ৭ থেকে ৮টি কোচ লাইনচ্যুত এবং উল্টে গেছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
রেহমান বলেন, ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে লোকো শেড রোহরি থেকে একটি ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তিনি জিও নিউজকে বলেন, "দুর্ঘটনার কারণে আপ ট্র্যাকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।" আশেপাশের হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহতদের নবাবশাহ মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি। কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন। পাকিস্তান রেলওয়ের বিভাগীয় সুপারিনটেনডেন্ট সুক্কুর মোহাম্মদুর রহমানকে উদ্ধৃত করে পাকিস্তানি মিডিয়া জানিয়েছে যে ১০টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। পুলিশ বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো থেকে যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশেপাশের হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
পাকিস্তানে বাড়ছে ট্রেন দুর্ঘটনা
দুর্ঘটনার শিকার হওয়া হাজরা এক্সপ্রেসটিতেও একই ইঞ্জিন লাগানো হয়েছিল, যা চলতি বছরের মার্চ মাসে হাভেলিয়ান-করাচি ট্রেনে লাগানো হয়েছিল। জানিয়ে রাখি, রেলের আধিকারিকদের গাফিলতির কারণে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার হাত থেকে ট্রেনটিও অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে। এর আগে করাচি থেকে শিয়ালকোটগামী আল্লামা ইকবাল এক্সপ্রেসের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছিল। তবে এই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। পাকিস্তানে নিয়মিত ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে। গত এক দশকে পাকিস্তানে অনেক বড় রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং বিগত বছরগুলোতে সেগুলি বেড়েছে।