বুধবার বিকেল থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেছিল শুভেচ্ছাবার্তা। পড়শি দেশের সাফল্যে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাচ্ছিল আম পাকিস্তানিদের একাংশও।
ইতিহাস গড়ে গত ২৩ অগাস্ট চাঁদের কুমেরু জয় করেছে ভারত। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে চন্দ্রযান-৩। বুধবার বিকেল থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেছিল শুভেচ্ছাবার্তা। পড়শি দেশের সাফল্যে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাচ্ছিল আম পাকিস্তানিদের একাংশও। এবার দু'দিন পর পড়শি দেশের অভাননীয় বৈজ্ঞানিক সাফল্যকে কুর্নিশ জানাল পাক সরকারও। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মমতার জহরা বালোচ বলেছেন,'আমি বলতে পারি যে, এটি একটি বিরাট বৈজ্ঞানিক সাফল্য। যে কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন প্রাপ্য ইসরোর বিজ্ঞানীদের।'
উল্লেখ্য, শনিবার সাতসকালে ইসরোয় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিন মোদী চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণস্থলের নাম রাখলেন 'শিবশক্তি'। শুধু তাই নয় ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ চাঁদের যে জায়গায় ভেঙে পড়েছিল, সে জায়গারও নামকরণ করলেন তিনি। সেই জায়গার নামকরণ হল তেরঙ্গা। এছাড়া চন্দ্রযান-৩ এর ঐতিহাসিক সাফল্যের দিনটিকে আরও স্বরণীয় করে রাখতে ২৩ অগাস্ট 'জাতীয় মহাকাশ দিবস' ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম যেখানে চাঁদের যে জায়গাটি স্পর্শ করেছে সেটি 'শিব শক্তি পয়েন্ট' নামে পরিচিত হবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ বেঙ্গালুরুতে ISRO-এর বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় ঘোষণা করেছেন।বেঙ্গালুরুতে ISRO টেলিমেট্রি ট্র্যাকিং অ্যান্ড কমান্ড নেটওয়ার্ক (ISTRAC) এ প্রধানমন্ত্রী মোদির বড় ঘোষণা এসেছে যেখানে তিনি আজ ঐতিহাসিক চন্দ্রযান-3 মিশনের পিছনে বিজ্ঞানীদের অভ্যর্থনা জানাতে এসেছিলেন। এদিন মোদী বলেন,'চাঁদে স্পর্শ করার স্থানটির নামকরণ করা একটি সম্মেলন। এবং ভারতও এখন বিক্রম ল্যান্ডারের যে বিন্দুটি স্পর্শ করেছে তার নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই বিন্দুটি এখন 'শিব শক্তি পয়েন্ট' হিসাবে পরিচিত হবে।'