পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রক সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করে এই তথ্য জানিয়েছে। পাক অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে যে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটার ৩০৫.৩৬ টাকা এবং ডিজেলের (এইচএসডি) দাম ৩১১.৮৪ টাকা প্রতি লিটার হয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে এক টুকরো রুটির জন্য বাড়ছে হাহাকার। পরিস্থিতি বেশ খারাপ প্রতিবেশী দেশের। অর্থনীতি ঘূর্ণির মাঝখানে আটকে আছে এবং জনসাধারণ রুটির জন্য আকুল। এমতাবস্থায় মূল্যস্ফীতি সেখানকার মানুষের জীবনকে নাকাল করছে। আমরা যদি তেলের কথা বলি, এখানে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৩০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। স্থানীয় সংবাদপত্র ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সরকার পেট্রোলের দাম বাড়িয়েছে। পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার এক ধাক্কায় পেট্রোলের দাম ১৪.৯১ টাকা এবং ডিজেলের ১৮.৪৪ টাকা প্রতি লিটার বাড়িয়েছে। এরপর পাকিস্তানে জ্বালানির দাম লিটার প্রতি ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে।
পেট্রোল এবং ডিজেল জনসাধারণের কাছে দুর্গম হয়ে উঠেছে
আসলে পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রক সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করে এই তথ্য জানিয়েছে। পাক অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে যে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটার ৩০৫.৩৬ টাকা এবং ডিজেলের (এইচএসডি) দাম ৩১১.৮৪ টাকা প্রতি লিটার হয়েছে। তবে এই সময়ে কেরোসিনের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানে পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ২৯০.৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩০৫.৩৬ টাকা এবং প্রতি লিটার ২৯৩.৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৩১১.৮৪ টাকা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রথম পাকিস্তানে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে।
জ্বালানি তেলের দাম অত্যধিক বাড়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, বিদ্যুতের বিল সাধারণ মানুষের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। এই নিয়ে দেশের বেশ কয়েকটি জায়গা বিক্ষোভ ছড়ালেও পাক সরকারের টনক নড়ছে না। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সে দেশের অধিকাংশ মানুষ দু'বেলা খাবার জোটাতে হিমশিম খাচ্ছেন । এর মধ্যে বারবার একবার পেট্রোল- ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে রীতিমতো হতাশ দেশটির আমজনতা। হঠাৎ করে এই পেট্রল, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে পাকিস্তানে জ্বালানির দাম এখন নতুন রেকর্ডে পৌঁছেছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে পাকিস্তানের ৩০৬ টাকা এক ডলারের সমান। জেনে রাখা ভালো যে এর আগে, ১৫ অগাস্ট, পাকিস্তান সরকার পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ২০ টাকা বাড়িয়েছিল, তার পরে আবারও জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়েছে। জ্বালানির দাম বাড়ার সাথে সাথে ব্যয়বহুল পরিবহনের কারণে নিত্যদিনের জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া শুরু হয়, যার মূল্য দিতে হয় সেখানকার মানুষকে। ফলে খাদ্যদ্রব্যের দামও সাধারণ মানুষের বাজেটের বাইরে চলে যায় এবং মানুষকে চরম বিপাকে পড়তে হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের রুপির ক্রমাগত পতন হচ্ছে। শুক্রবারও ডলারের বিপরীতে রুপির ১.০৯ টাকা অবমূল্যায়ন হয়েছে। সেখানে বলা হয়, বর্তমানে পাকিস্তানের ৩০৬ টাকা এক ডলারের সমান।