আব্দুল রহমান আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের স্থানীয় নেতা ছিলেন। সে করাচিতে লস্করের জন্য তহবিল সংগ্রহ করত। তার এজেন্টরা বিভিন্ন এলাকা থেকে তহবিল এনে তার কাছে জমা দিত, তারপর সে তহবিলগুলো হাফিজ সাইদের কাছে পৌঁছে দিত।
পাকিস্তানে নিকেশ হচ্ছে একের পর এক লস্কর নেতা!। এবার করাচিতে হাফিজ সইদের আরও এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে হত্যা করা হয়েছে। লস্কর-ই-তৈয়বার জন্য তহবিল সংগ্রহকারী আব্দুল রেহমানের উপর অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি চালালে তিনি নিহত হন। ২৬/১১ মুম্বাই হামলার প্রধান চক্রী হাফিজ সঈদের আত্মীয় তথা লস্কর-ই-তৈয়বার অন্যতম সদস্য আব্দুল রেহমান।
বলা হচ্ছে যে আব্দুল রহমান আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের স্থানীয় নেতা ছিলেন। সে করাচিতে লস্করের জন্য তহবিল সংগ্রহ করত। তার এজেন্টরা বিভিন্ন এলাকা থেকে তহবিল এনে তার কাছে জমা দিত, তারপর সে তহবিলগুলো হাফিজ সাইদের কাছে পৌঁছে দিত। যে পাকিস্তান (Pakistan) গত কয়েক দশকে সন্ত্রাসবাদীদের ‘আঁতুড় ঘর’ হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে, সেই পাকিস্তানের মাটিতেই হাফিজ সঈদের আত্মীয়র এহেন পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে গোটা বিশ্বকেই। বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই এই ধরনের আকস্মিক ঘটনায় জর্জরিত পাক প্রশাসন।
সন্ত্রাসবাদে জর্জরিত পাকিস্তান
হাফিজ সাঈদের ঘনিষ্ঠ সহযোগীর উপর এই হামলাটি ঘটে যখন তিনি তার বাবা এবং অন্যদের সাথে ছিলেন। হামলায় তার বাবাসহ তিনজন গুরুতর আহত হন, তবে আব্দুল রহমান ঘটনাস্থলেই মারা যান। জানা গিয়েছে যে ব্যক্তি হাফিজ সাঈদের ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে টার্গেট করেছিল, তাকে কেউ দেখেনি এবং কেউ তাকে চিনতেও পারেনি।
সম্প্রতি কোয়েটায় মুফতিকে হত্যা
সম্প্রতি কোয়েটায় অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীদের গুলিতে নিহত হন জমিয়ত-উলেমা-ই-ইসলামের মুফতি আবদুল বাকী নূরজাই। কোয়েটা বিমানবন্দরের কাছে নূরজাইকে গুলি করা হয়, এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
লস্করের কমান্ডও নিহত হয়েছিল
আব্দুল রেহমানের আগে, পাঞ্জাব প্রদেশের ঝিলাম এলাকায় লস্কর-ই-তৈয়বার শীর্ষ কমান্ডার জিয়া-উর-রেহমান ওরফে নাদিম ওরফে কাতাল সিন্ধিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। নাদিমকে লস্করের প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সাঈদের একজন বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হত। সে জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ-রাজৌরি এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত ছিল। সে ২০০০ সালের গোড়ার দিকে জম্মু অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে এবং ২০০৫ সালে পাকিস্তানে ফিরে আসে।