পাক সেনাবাহিনীর প্রধানের সহিত ইমরান খানের বিতর্ক নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে পর্যন্তও পাকিস্তানের রাজনীতি ছিল সরগরম।এবার সেই সমালোচনার মোড় ঘুরিয়ে দেবার জন্য তিনি বলেন যে পাক সেনাবাহিনী ও পিটিআই এর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব লাগানোর জন্য দায়ী বিরোধী শিবিরগুলো।
পাক সেনাবাহিনীর প্রধানের সহিত ইমরান খানের বিতর্ক নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে পর্যন্তও পাকিস্তানের রাজনীতি ছিল সরগরম। হঠাৎ এমন বিতর্কে জড়িয়ে ইমরানকেও পড়তে হয়েছিল বহু সমালোচনার মুখে। অবশেষে সমস্ত বিতর্কের মোড় ঘুরিয়ে দিতেই ফের বিস্ফোরক ইমরান খান। এবার জনগণের সমালোচনার মোড় ঘুরিয়ে দেবার জন্য তিনি বলেন যে পাক সেনাবাহিনী ও পিটিআই এর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব লাগানোর জন্য প্রধান দায়ী হলো বিরোধী শিবিরগুলো।
খান বলেন যে তার লক্ষ্য ছিল লং মার্চের মাধ্যমে হকের আজাদী অর্জন করা।সুস্থ নির্বাচনের মাধ্যমে তা অবিলম্বেই হতো। মাঝে পাক সেনার মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব তা অকারণে বিলম্বিত করলো। তার প্রতিবাদ মিছিলের পঞ্চম দিনের শুরুতে খান গুজরানওয়ালাতে তিনি যান তার সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলতে। এবং কথা চলাকালীন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তিনি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু করেন। এই সমালোচনা করতে করতেই তিনি বলেন , " দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল পিটিআই এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ষড়যন্ত্র করছেন তো আপনারা ? করুন তবে নওয়াজ শরীফ, আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি, আপনি যখন ফিরে আসবেন, আমি আপনাকে আপনার নিজের নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে মারব,"
তিনি শরীফকে সতর্ক করে বলেন, 'আপনি দেশে ফিরলে বিমানবন্দর থেকে আমরা আপনাকে আদিয়ালা কারাগারে পাঠাবো ।'
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতাকেও তিনি সিন্ধু সফরের জন্য "প্রস্তুত" থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন "জারদারি মনোযোগ দিয়ে শুনুন, আমি সিন্ধুতে আসছি,"
লং মার্চ নিয়ে এর আগে শরীফ উপহাস করে বলেন , " পিটিআই ১০ লক্ষ বিক্ষোভকারীদের একত্রিত করার ডাক দিয়েছিলো। কিন্তু খানের লং মার্চে কেবল ২০০০ লোক হয়েছে। " শরীফ সোমবার রাতে টুইট করে বলেন , "খানের প্রতি মানুষের উদাসীনতার কারণ হল মিথ্যা"।তিনি অভিযোগ করেন যে খান ধারাবাহিকভাবে এতটাই মিথ্যা বলেছেন যে গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স প্রধানকে "তার নীরবতা ভাঙতে এবং জাতিকে সত্য বলতে বাধ্য হয়"।
আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আহমেদ আঞ্জুম বৃহস্পতিবার বলেছেন যে বর্তমানের রাজনৈতিক এই অস্থিরতার জন্য খানের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকারের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে "লাভজনক অফার" এর প্রস্তাব দেওয়া দায়ী।
খানের অবশ্য দাবি যে তিনি সেনাপ্রধানের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন কারণ তিনি দেশ এবং এর প্রতিষ্ঠানগুলির "ক্ষতি" চাননি তাই।
খান ২০১৮ সালে একটি 'নয়া পাকিস্তান' তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন, তিনি গত বছর আইএসআই প্রধানের নিয়োগকে সমর্থন করতে অস্বীকার করার পরে স্পষ্টতই শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সমর্থন হারিয়েছিলেন।অবশেষে, খান রাজি হলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার তিক্ততা মেটে।