ক্রমশ বহরে বাড়ছে জইশের আত্মঘাতী স্কোয়াড! ৫০০০ মহিলা জঙ্গির নেতৃত্বে সাদিয়া

Published : Dec 05, 2025, 10:05 AM IST
ক্রমশ বহরে বাড়ছে জইশের আত্মঘাতী স্কোয়াড! ৫০০০ মহিলা জঙ্গির নেতৃত্বে সাদিয়া

সংক্ষিপ্ত

জামাত উল মোমিনাত নামে নতুন মহিলা শাখা তৈরি করে ৫,০০০-এর বেশি মহিলাকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে রিপোর্ট। মাসুদ আজহারের বোনের নেতৃত্বে এই শাখাটি ফিদাইন হামলার জন্য অনলাইন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।  

দিল্লি: জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ সম্প্রতি গঠিত জামাত উল মোমিনাত নামে তাদের মহিলা শাখায় ৫,০০০-এর বেশি মহিলাকে নিয়োগ করেছে বলে খবর। জইশ প্রধান মাসুদ আজহার দাবি করেছে যে বড় আকারের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলেছে। এদের সন্ত্রাসবাদের দিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা চলছে। সদস্য সংখ্যা বাড়ায় এখন জেলা ইউনিট স্থাপন করতে হবে বলেও জইশ প্রধান মাসুদ আজহার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানিয়েছে।

নিয়োগ শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ৫,০০০-এর বেশি মহিলা যোগ দেওয়াকে ঈশ্বরের আশীর্বাদ বলে মাসুদ আজহার তার পোস্টে উল্লেখ করেছে। "জেলা ইউনিট গঠন করা হবে, প্রতিটি জেলার জন্য একজন মুন্তাজিমা থাকবেন, কাজ ভাগ করে দেওয়া হবে। অল্প সময়ে ৫,০০০ সদস্য," আজহার লেখে। ৮ অক্টোবর জইশের সদর দফতর মারকাজ উসমান-ও-আলিতে জামাত উল মোমিনাতের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। পাকিস্তানের বাহওয়ালপুর মুলতান, শিয়ালকোট, করাচি, মুজাফফরাবাদ এবং কোটলি থেকে প্রধানত মহিলাদের নিয়োগ করা হয়েছে।

মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া জামাত উল মোমিনাতের নেতৃত্ব দিচ্ছে। সাদিয়া হল ইউসুফ আজহারের স্ত্রী, যে পহেলগাম জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারতের চালানো অপারেশন সিন্দুরে নিহত হয়েছিল। পুলওয়ামা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী উমর ফারুকের স্ত্রী আফিরা এই মহিলা শাখার আরেক গুরুত্বপূর্ণ মুখ। মহিলাদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ৪০ মিনিটের এই অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে প্রত্যেককে ৫০০ টাকা ফি দিতে হবে। আইএস, হামাস এবং এলটিটিই-র আদলে ফিদাইন হামলা চালানোর জন্য মহিলা স্কোয়াডকে প্রশিক্ষণ দেওয়াই তাদের পরিকল্পনা বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।

দিল্লি বিস্ফোরণের সঙ্গে যোগসূত্র

গত মাসে দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পরেই জামাত উল মোমিনাত নজরে আসে। দিল্লির কাছে ফরিদাবাদ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের পর গ্রেফতার হওয়া ডঃ শাহীন সঈদের সঙ্গে জইশ জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এর আগে সংগঠনটি শুরু করার সময় আজহার বলেছিল যে, মহিলা শাখার সদস্যদের জইশের পুরুষ সদস্যদের মতোই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পুরুষ সদস্যরা যেমন ১৫ দিনের ‘দাওরা-এ-তরবিয়াত’ কোর্সে অংশ নেয়, তেমনই মহিলা সদস্যরা ‘দাওরা-এ-তাজকিয়া’ নামক একটি ইন্ডাকশন কোর্সে অংশ নেবে। এই প্রশিক্ষণ মারকাজ উসমান-ও-আলিতে অনুষ্ঠিত হবে। এই ব্রিগেডে যোগ দেওয়া মহিলাদের জন্য আজহার কঠোর নিয়মও আরোপ করেছে। তার মধ্যে একটি হল, স্বামী বা নিকটাত্মীয় ছাড়া অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে ফোনে বা মেসেঞ্জারে কথা বলা যাবে না।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

৫ বছরের জন্য পাকিস্তানের CDS আসিম মুনির, 'শাহবাজের চালাকি' বলল ভারত
পাকিস্তানে ক্ষমতার লড়াই: সেনাপ্রধান ও শরিফের আপসহীন সংঘাত, কোনদিকে চলেছে দেশের ভবিষ্যত?