
ইসলামাবাদ। পাকিস্তান আবারও একটি বড় রাজনৈতিক ও সামরিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির এবং শরিফ পরিবারের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই এখন সবচেয়ে তীব্র পর্যায়ে পৌঁছেছে। উভয় পক্ষই তাদের নিজ নিজ দাবি স্পষ্ট করে দিয়েছে এবং এই দাবিগুলিতে আপোসের কোনও সুযোগ দেখা যাচ্ছে না। এই কারণেই এই সংঘাতের পর কী হবে, তা পাকিস্তানের রাজনীতির ভবিষ্যতের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে
পাকিস্তানে কি সেনাবাহিনী ও রাজনীতির সরাসরি সংঘর্ষ হবে?
বর্তমান পরিস্থিতি বলছে যে এটি কেবল একটি "আসন বা পদ"-এর লড়াই নয়, বরং পাকিস্তানে আসল ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তার একটি নির্ণায়ক যুদ্ধ। সেনাবাহিনী ও রাজনীতির এই সরাসরি সংঘর্ষ আগামী মাসগুলিতে দেশকে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
মুনির ও শরিফের পক্ষ থেকে রাখা চারটি করে শর্ত
এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে তিনটি বড় বিষয়—ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ, সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। প্রশ্ন হল, পাকিস্তানের মতো একটি সংবেদনশীল দেশে এত বড় সংঘাতের শেষ কোথায়? এবং আসল সিদ্ধান্ত কার হাতে যাবে? এই পুরো বিষয়টি বুঝতে হলে প্রথমে উভয় পক্ষের চারটি করে দাবি বোঝা জরুরি। এখান থেকেই বোঝা যায় যে উত্তেজনা যতটা উপরে দেখা যাচ্ছে, আসলে তার চেয়ে অনেক বেশি গভীর।
আসলে আসিম মুনির কী চান? এটা কি শুধু মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়?
জেনারেল আসিম মুনির তাঁর চারটি দাবি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যা পাকিস্তানের রাজনীতিকে পুরোপুরি বদলে দিতে পারে।
শরিফ-জারদারি শিবির কেন বিরোধিতা করছে?
শরিফ পরিবার এবং জারদারি শিবিরের আশঙ্কা, আসিম মুনিরকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিলে পাকিস্তানের বেসামরিক সরকার কেবল নামমাত্র হয়ে থাকবে।
পাকিস্তান কি নতুন রাজনৈতিক ঝড়ের মুখে পড়তে চলেছে?
বিশ্লেষকরা ক্রমাগত সতর্ক করছেন যে যদি উভয় পক্ষই পিছু না হটে, তবে এই যুদ্ধ শুধু ক্ষমতা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটি পাকিস্তানকে একটি নতুন সাংবিধানিক সংকট, দুর্বল বেসামরিক শাসন এবং সেনাবাহিনী বনাম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি প্রকাশ্য সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
পাকিস্তান কি আবার বড় সংকটে পড়তে চলেছে?