পাকিস্তানে ভয়াবহ আর্থিক অবস্থার অবনতি। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করছেন প্রায় ৯৮ মিলিয়ন পাকিস্তানি। খুব তাড়াতাড়ি আরও এক কোটিরও বেশি বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
পাকিস্তানে ভয়াবহ আর্থিক অবস্থার অবনতি। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করছেন প্রায় ৯৮ মিলিয়ন পাকিস্তানি। খুব তাড়াতাড়ি আরও এক কোটিরও বেশি বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
একটি প্রতিবেদনে এটি ইঙ্গিত দিয়েছে যে দেশটি প্রায় সমস্ত মূল অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রাই এখনও অর্জন করতে পারেনি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে পাকিস্তান তার প্রাথমিক বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। তাই এখনও প্রায় টানা তিন বছর লোকসানে থাকতে পারে এই দেশ।
প্রতিবেদনের প্রধান লেখক সৈয়দ মুর্তজা মুজাফফারি জানিয়েছেন , দারিদ্র্য দূরীকরণে যে প্রচেষ্টা পাকিস্তানে চলছে তা যথেষ্ট নয়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সামান্য ১ দশমিক ৮ শতাংশে স্থিতিশীল থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। একই সময়ে, প্রায় ৯.৮ কোটি পাকিস্তানি ইতিমধ্যেই দারিদ্র্যসীমার নীচে রয়েছে। এতে দারিদ্র্যের হার প্রায় ৪০ শতাংশে স্থির রয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে দারিদ্র্যসীমার ঠিক উপরে বসবাসকারী মানুষের ঝুঁকির কথাই বলা হয়েছে।বলা হয়েছে যে দারিদ্র্যসীমার নীচে নেমে যেতে পারে আরও এক কোটি মানুষ। তবে কিছুটা আশার আলোও দেখিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। বিশ্ব ব্যাঙ্ক বলেছে, দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কৃষি উৎপাদনে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে দৈনিক মজুরি শ্রমিকদের মজুরি এই আর্থিক বছরের প্রথম প্রান্তিকে মাত্র পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে মূল্যস্ফীতি ৩০ শতাংশের উপরে ছিল।
এছাড়া বিদ্যালয়ে উপস্থিত শিশুদের সংখ্যা কমতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে পাঠরত শিশুর সংখ্যা কমবে। এছাড়াও, দারিদ্রের কারণে চিকিৎসায় বিলম্বও দেখা দিতে পারে। এছাড়া অনাহারে মৃত্যুর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।