ভারতের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকে-র গম্বুজের বিরাট ছিদ্র, স্যাটেলাইটে ধরা পড়ল দৃশ্য

Published : May 08, 2025, 11:06 AM ISTUpdated : May 08, 2025, 11:07 AM IST
operation sindoor

সংক্ষিপ্ত

Operation Sindoor: পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার হামলার পর স্যাটেলাইট চিত্রে ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন স্পষ্ট। বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের প্রমাণ মিলেছে স্যাটেলাইট ছবিতে। 

Operation Sindoor: মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ওপর হামলা করে ভারতীয় সেনা। উড়িয়ে দেওয়া হয় ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। এর পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে পাকিস্তানের নানান ছবি। তবে, সেই সকল ছবি নিয়ে অনেকেই নানান মত প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন তা ফেক। এবার প্রকাশ্যে এল স্যাটেলাইটের ছবি।

স্যাটেলাইটে ধরা পড়ল অপারেশন সিঁদুর-র প্রভাবে পাকিস্তানে কী অবস্থা হয়েছে তার দৃশ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি দৃশ্য। বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে গম্বুজের ছবি দেখা যাচ্ছে। আর সেই গম্বুজের ছিদ্র স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে স্যাটেলাইটে। বাহাওয়ালপুর ও মুরিদক মূলক জৈশ ই মোহাম্মদ (জেইএম) এবং লস্কর ই তৈয়বা (এলইচি)-ক কার্য পরিচালনার জন্য পরিচিত। ভারতীয় সেনার ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রে যে ধ্বংস হয়েছে সেই সকল স্থান তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে স্যাটেলাইটের ছবি।

ভাইরাল হওয়া ছবি বলছে, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বাহাওয়ালপুরের সুবহাম আল্লাহ মসজিরে গম্বুজে ছিদ্র করেছে। সেই স্থান জৈশ ই মোহাম্মদের কাজের সঙ্গে যুক্ত।

অপর ছবি মুরিদকেতে। স্যাটেলাইটের ছবিতে লস্কর ই তৈয়বার একটি স্থাপনা সম্পূর্ণ ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে।

সরকারি সূত্রে খবর, নিষিদ্ধ সংগঠন জেইএম, এলইটি, হিজবুল মুজাহিদিনের সঘ্য়ে যুক্ত ৮০ জনেরও বেশি জঙ্গি এদিন নিহিত হন।

 

 

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ঘটেছিল সেই ভয়ানক ঘটনা। ঘটনাটি ঘটে পেহলগাঁও-র বৈসরন উপত্যকায়। যা মিনি সুইৎজারল্যান্ড নামে খ্যাত। সেদিন পর্যটকদের রক্ত লাল হয়ে যায় মিনি সুইৎজারল্যান্ড। যেদিন দুপুরে জঙ্গিদের গুলিতে প্রয়াত হন ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যক্ষদর্শী ও বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বলেছিলেন যে, ‘জঙ্গিরা ধর্ম জেনে হত্যা করা হয়। বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের হত্যা করেছে।’ এই পেহলগাঁও কাণ্ডে লস্কর ই তৈবা-র ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট দায়ি বলে অভিযোগ ওঠে।

এদিকে জানা গিয়েছিল, এই হত্যার ছক কদিন ধরে করা হয়। ২২ এপ্রিল হামলার ঠিক আগে ১-৭ এপ্রিল রেইকি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। একাধিক রিসর্টে রেইকি করেছিল জঙ্গিরা। শেষ পর্যন্ত বেছে নিয়েছিল কাশ্মীরের বৈসারন উপত্যকা। ২২ এপ্রিল দুপুরে ৫-৬ জন জঙ্গি সেখানে হাজির হয়েছিল। দু-তিনটে দলে ভাগ হয়ে ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ধর্মীয় পরিচয় দেখে টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। ঘটনাস্থলে সেদিন মৃত্যু হয়েছিল ২৫ জন পর্যটক ও ১ জন স্থানীয়ের।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

দ্বিতীয় বিয়ে করছেন স্বামী! চোখের জলে মোদীর কাছে সাহায্য চাইলেন পাকিস্তানি যুবতী
CDF আসিম মুনিরের হাতেই পাকিস্তানের পরমাণু শক্তির চাবি, সবথেকে শক্তিশালী ব্যক্তি তিনি