বুধবার ইমরান খানকে আদালতে পেশ করা হয়। তাঁকে আদালতে আট দিনের জন্য জাতীয় অ্যাকাউন্টটেবিলিটি ব্যুরো হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। সেনা বাহিনী ইমরানের অনুগামীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
পাকিস্তান সেনা বাহিনী ইমরান খানের সমর্থকদের রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বলেছেন ৯ মে একটি কালো অধ্যায়। যারা হমলার ঘটনায় যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মঙ্গলবার প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের সেনা বাহিনী। তারপরই গোটা দেশে আগুন জ্বলতে থাকে। ইমরানের অনুগামীরা গোটা দেশে হামলা চালায়। ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেনা বাহিনীরর তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানান হয়েছে, 'আমরা কাউকে আইন হাতে নিতে দেব না।' ইন্টার সার্ভিসের পাবলিক রিলেসন্স জানিয়েছেন যারা হামলা চালিয়েছে তারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করলেই এজাতীয় ঘটনা ঘটিয়েছে। সেনা বাহিনী কিছুতেই তাদের ছেড়ে দেবে না।
অন্যদিকে বুধবার ইমরান খানকে আদালতে পেশ করা হয়। তাঁকে আদালতে আট দিনের জন্য জাতীয় অ্যাকাউন্টটেবিলিটি ব্যুরো বা National Accountability Bureau (NAB) -হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। ইমরানের বিচার করছেন মহম্মদ বুশির। তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তাঁর মেয়ে মারিয়মকে একটি সম্পত্তি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। ইমরানের বিরুদ্ধে জাতীয় কোষাগার মামায় ৫০ বিলিয়ন পাকিস্তানি মুদ্রা হেরাফেরির অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে ইমরান খান জানিয়েছেন, তাঁর জীবন বপন্ন হতে পারে। তিনি রীতিমত ভীত। গত ২৪ ঘণ্টা তিনি ওয়াশরুমে যাননি। এই মামলারই এক আসামী ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছে। যার মৃত্যুর কোনও কিনারা করতে পারেনি পাকিস্তান প্রশাসন। যা নিয়ে ইমরান খান ও পিটিআই সমর্থকরা অত্যান্ত উদ্বিগ্ন। ইমরান খানকেও খুন করা হতে পারে বলে অনুমান তাদের। এদিন আদালতেও সেই কথাই বলেন ইমরানের আইনজীবী। অন্যদিকে ন্যাব ইমরানকে ১৪ দিনের হেফাজতে চেয়েছিল। কিন্তু আদালত তা মঞ্জুর করেনি। মাত্র ৮ দিনের হেফাজতই দিয়েছে।
ইমরান খানের অনুগামীর সংখ্যা অসংখ্য। ইমরান খান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর অনুগামীরা পাকিস্তানের একাধিক স্থানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। ইমরান বলেছেন সব অভিযোগই রাজনৈতিক। আর সেই কারণে তাঁকে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। বিক্ষোভকারীরা তার বাসভবনেও বিক্ষোভ দেখিছে। কারণ ইমরানের বাসভবন বর্তমানে সেনা বাহিনীর দখলে। ইমরান খানের গ্রেফতারি নিয়ে নিরাপত্তা রক্ষাকারী ও পাকিস্তান পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়তে থাকে। ইমরান খান এখনও হেফাজতে রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে বহু বছরের জন্য কারাগারে বাস করতে হবে। যদিও ইমরানের সংর্থকরা জানিয়েছে, দেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে তাদের কণ্ঠ স্তব্ধ করার জন্যই এই পথে হাঁটছে পাক প্রশাসন। ইমরান খানের বিরুদ্ধে মানহানি, সন্ত্রাস, দুর্নীতি - সহ যে মামলাগুলি রয়েছে সেগুলি সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত- দাবি সমর্থকদের।