জেলবন্দি হলেও ইমরান খানের দল পাকিস্তানের নির্বাচনে সর্বোচ্চ আসন জিতেছে । কিন্তু তারপরেও ইমরান খানের হাতছাড়া হতে পারে ইসলামাবাদ।
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে ভোট গ্রহণ হয়েছিল। কিন্তু সম্পূর্ণ ফল হয় ১১ ফেব্রুয়ারি। সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে ইমরান খানের দল। যদিও দলের অধিকাংশ প্রার্থী নির্দল প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও জয়ের পাল্লা ইমরান খানের দিকে। জেলবন্দি হলেও ইমরান খানের দল পাকিস্তানের নির্বাচনে সর্বোচ্চ আসন জিতেছে । কিন্তু তারপরেও ইমরান খানের হাতছাড়া হতে পারে ইসলামাবাদ। কিন্তু কেনঃ
১. ইমরান খানের দল পাকিস্তানের নির্বাচনে সর্বোচ্চ আসন জিতেছে। ১০১টি আসন জিতেছে। কিন্তু তারপরেও অধরা ইসলামাবাদ।
২. পাকিস্তান সংসদের মোট আসন ২৬৬। সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার ১৩৩। কোনও রাজনৈতিক দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।
৩. ইমরান খানের প্রতিপক্ষ নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ -নওয়াজ পেয়েছে ৭৩টি আসন। অন্যদিকে বিলাওয়াল ভুট্টো জরদারির দল পাকিস্তান পিপিলস পার্টি পেয়েছে ৫৪টি আসন। দুটি দল জোট করার কথা বললেও তাদের মিলিত আসন ১৩৩ হবে না। ৬টি আসন কম পড়বে।
৪. ত্রিশঙ্কু পাকিস্তানের সংসদ। তিনটি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি দলের ইমরান খানের তেহরিক- ই- ইনসাফ পার্টি সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে। কিন্তু দলীয় প্রতীকে নয়।
৫. তবে বিলাওয়াল ভুট্টো ও জরদারি ইতিমধ্যেই জোট নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। কিন্তু কোনও দলই এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেনি।
৬. অন্যদিকে ইমরান খানের দলের পক্ষ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা কোনও জোটের মধ্যে যাবে না। এককভাবেই দেশের প্রতি ও পাকিস্তান সংসদে থেকে দায়িত্ব পালন করবে।
৭. জেলবন্দি ইমরান খান। এখনও সরকার গঠন নিয়ে তেমন কোনও বার্তা দেননি। যদিও তার দলের নেতারা ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছে বলেও জানিয়েছে।
৮. ইমরান খানের দলের একাংশের অভিযোগ গণনায় কারচুপি হয়েছে। নাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাদের দলই অর্জন করত। তারা আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছে।