
মহাকাশের দৌড়ে ভারতকে হারাতে হবে! তাই মরিয়া পাকিস্তান সরাসরি স্মরণাপত্ত হয়েছে চিনের। বেজিং-এর সাহায্যেই মহাকাশচারী পাঠিয়ে ভারতকে টেক্কা দিতে চায় ইসলামাবাদ। আর সেই কারণেই চুক্তিও হয়ে গেছে। সূত্রের খবর চলতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি বেজিং মহাকাশ গবেষণা সংস্থা চায়না ম্যানড স্পেশ এজেন্সি বা সিএমএস-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে পাকিস্তান স্পেশ অ্য়ান্ড আপার অ্যাটমোস্পিয়ার রিসার্চ কমিশন বা সুপার।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পাকিস্তানের মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানীদের মহাকাশ সফরের প্রশিক্ষণ দেবে চিন। ইতিমধ্যেই তারই প্রস্তুতি শুরু করেছে চিন। বেজিং চিনা মহাকাশ সংস্থাকে একটি চিঠি দিয়ে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন। সংস্থার কর্তাব্যাক্তিদের কথায়, মহাকাশ গবেষণার প্রশ্নে দুই দেশ হাত মেলানোয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত খুলবে। যদিও বিদেশি মহাকাশ গবেষক ও মহাকাশচারীদের নিজেদের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার অংশ করতে রাজি নয় চিন। কিন্তু 'বন্ধু' পাকিস্তানের জন্যই পুরনো নিয়ম ভাঙছে ড্রাগন দেশ। চিন সূত্রের খবর, ইসলামাবাদের মহাকাশচারীদের মহাশূন্যে নিয়ে গিয়ে আমেরিকা আর রাশিয়ার পর্যায়ে পৌঁছে দিতে মরিয়া চিন। যদিও এতদিন কোনও দেশের সঙ্গে মহাকাশ গবেষণার বিষয় নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। কত কিন্তু নিজেদের ছুঁৎমার্গের কারণে এতদিন চিন বিদেশিদের জন্য নিজের দেশের দরজা বন্ধ করে রেখেছিল। কিন্তু রাশিয়া বা আমেরিকার পর্যায়ে পৌঁছাতে এবার পাকিস্তানের জন্য মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দরজা খুলে দিল শি জিংপিং।
চিনা মহাকাশ সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'আমাদের লক্ষ্য মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে উপরের দিকে তুলে আনা। আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই কাজ করবে বেজিং। সেই লক্ষ্যেই আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছি।' সূত্রের খবর এই বিষয়ে পুরো কর্তৃত্ব থাকবে চিনের ওপর। পাকিস্তানের মহাকাশচারীরে বাছাই থেকে প্রশিক্ষণ- সবকিছুই হবে চিনের মত অনুযায়ী। তবে কবে থেকে কাজ শুরু হবে তা এখনও জানায়নি দুই দেশ। সবমিলিয়ে দুই থেকে তিন বছর বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।
মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে চিন পাকিস্তান গাঁটছড়া দীর্ঘ দিনের। গত শতাব্দীর ৯০-এর দশকে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে বদর-১ নামের একটি কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করে ইসলামাবাদ। এর সাহায্যে ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে চেয়েছিলেন পাক মহাকাশ গবেষকেরা। ১৯৯০ সালের ১৬ জুলাই চিনের লং মার্চ টুই রকেটের সাহায্যে ওই কৃত্রিম উপগ্রহটিকে পৃথিবীর নিম্নকক্ষে স্থাপন করে সুপারকো। আরও বেশ কিছু প্রজেক্ট দুই দেশ একই সঙ্গে করেছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।