
Pakistan Army: পাকিস্তান সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলে বলা হয়, দেশ চালায় সেনাবাহিনী। বাস্তবেও দেখা যায়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা ও প্রভাব কম কিছু নয়। এবার সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পাক সরকার। শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) সরকারের এই পদক্ষেপে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলি ক্ষুব্ধ। তারা প্রতিবাদে সরব হয়েছে। পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলির দাবি, এর ফল পাকিস্তানের সংবিধানের ভিত্তি নড়ে যাবে। পাকিস্তান সরকার ২৭-তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে মুনিরকে চিফ অফ ডিফেন্স ফোর্সেস (Chief of Defence Forces) পদ দিতে চাইছে। পাকিস্তানের পদাতিক বাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী (Pakistan Navy) ও বায়ুসেনার (Pakistan Air Force) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পাবেন মুনির। অতীতে পাকিস্তানের কোনও সেনাপ্রধান এই ক্ষমতা পাননি।
পাকিস্তানের বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (Tehreek-e-Insaf) এক নেতা বলেছেন, ‘২৭-তম সংবিধান সংশোধনের পর ফিল্ড মার্শাল সারা জীবনের জন্য সুবিধা ভোগ করবেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনওদিন কোনও মামলা দায়ের করা যাবে না। নিজের কৃতক্রমে আসিম মুনির এত ভয় পেয়ে গিয়েছেন যে তিনি নিজের চারপাশে নিরাপত্তার দেওয়াল তুলছেন। তিনি ভয় পাচ্ছেন, দেশের প্রতি যা করেছেন, তাতে তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এই কারণেই তিনি নিজের জন্য সারা জীবনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে নিচ্ছেন।’ অপর এক বিরোধী নেতা আবুজার সলমন নিয়াজি ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের আদালতে পাকিস্তানের সংবিধান ও বিচারব্যবস্থা স্বাধীনতা ও আইনের প্রতি আনুগত্যের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। ২৬ ও ২৭-তং সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে।’
পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাবিব আক্রম বলেছেন, '২৭-তম সংবিধান সংশোধনের পর পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিরোধরে বিষয় আদালতের নাগালের বাইরে থাকবে। এর ফলে তিক্ততা বাড়বে এবং সরাসরি অর্থনীতির উপর এর প্রভাব পড়বে।' তিনি আরও বলেছেন, জেনারেল জিয়া-উল-হক (General Zia-ul-Haq) সংবিধানের অষ্টম সংশোধন করলেও, তার উল্টো ফল হয়েছিল। এবারও সেরকম কিছু হতে পারে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।