
পাকিস্তানে সবজির দাম: পাকিস্তানে সবজির দাম মানুষের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। টমেটো প্রতি কেজি ৬০০ টাকা এবং আদার দাম ৭৫০ টাকায় পৌঁছেছে। মটরের দামও প্রতি কেজি ৫০০ টাকা। এই মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের থালা এবং বাজেট দুটোতেই প্রভাব ফেলেছে। তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে ১১ অক্টোবর, ২০২৫ থেকেই উত্তেজনা চলছে। তোরখাম এবং চমন-এর মতো প্রধান ক্রসিংগুলো বন্ধ রয়েছে। যার কারণে সবজির সরবরাহ কমে গেছে এবং দাম ৪০০% পর্যন্ত বেড়েছে।
পাকিস্তানে টমেটো এবং আদার মতো সবজির দাম বাড়াটা নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই মূল্যবৃদ্ধি চলছে। দুই বছর আগে, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে, পাকিস্তানে আটার দামও রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছিল। করাচিতে ২০ কেজি আটার প্যাকেট ৩,২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, যা বিশ্বের সবচেয়ে দামী আটা বলে মনে করা হয়েছিল।
এখন টমেটোর দাম বাড়ার পেছনে একটি নয়, একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, আফগানিস্তান থেকে টমেটো নিয়ে আসা ট্রাকগুলো সীমান্ত বন্ধ থাকায় আটকে পড়েছে, যার ফলে করাচি, লাহোর এবং ইসলামাবাদের মতো বড় বাজারগুলিতে সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। প্রায় ৫ হাজার কন্টেইনার সীমান্তে আটকে আছে এবং ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। দ্বিতীয় কারণ হলো, স্থানীয় চাষে আবহাওয়ার প্রভাব। খাইবার পাখতুনখোয়া, বেলুচিস্তান এবং সিন্ধুতে ভারী বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ফসল নষ্ট হয়েছে এবং পাকতেও দেরি হচ্ছে। তৃতীয় কারণ, বেলুচিস্তানের ফসল তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং ইরান থেকে টমেটোর আমদানিও কমে গেছে। আর শেষ কারণ হলো কিছু পাইকারি ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতাদের স্বেচ্ছাচারিতা।
আদা- ৭৫০ টাকা কেজি
মটর- ৫০০ টাকা কেজি
রসুন- ৪০০ টাকা কেজি
ঢ্যাঁড়স- ৩০০ টাকা কেজি
লেবু- ৩০০ টাকা কেজি
ক্যাপসিকাম- ৩০০ টাকা কেজি
লাল গাজর- ২০০ টাকা কেজি
শসা- ১৫০ টাকা কেজি
পেঁয়াজ- ১২০ টাকা কেজি
সূত্র- এক্সপ্রেস ট্রিবিউন