
ইসলামাবাদ / রাওয়ালপিন্ডি : পাকিস্তানে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এমনই এক ঘটনায়, চাহান বাঁধের কাছে সরাসরি সম্প্রচার করার সময় একজন সাংবাদিককে জোরালো স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়, এবং এই সম্পূর্ণ ঘটনাটি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এবং অনেকেই উদ্বেগ ও প্রশংসা উভয় ধরণের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এই ঘটনাটি রাওয়ালপিন্ডির কাছে চাহান বাঁধের কাছে ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক গলা পর্যন্ত জলেতে দাঁড়িয়ে সরাসরি সম্প্রচার করছিলেন। তার হাতে ছিল মাইক, এবং তিনি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যার পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে জলের স্রোত বেড়ে যায় এবং সাংবাদিকের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে তিনি জলে তলিয়ে যেতে শুরু করেন। ভিডিওতে শেষ পর্যন্ত তার শুধু মাথা এবং মাইক দেখা যাচ্ছিল, এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি সম্পূর্ণরূপে স্রোতে ভেসে যান।
এই ভয়াবহ ভিডিওটি 'আল আরাবিয়া ইংলিশ'-এ ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে এবং এরপর থেকেই এটি ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই সাংবাদিকের সাহসের প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ কেউ এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে রিপোর্টিং করার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। “সাংবাদিকতা হল তথ্য দেওয়ার মাধ্যম, জীবন বিপন্ন করার নয়,” এমনটাই অনেকের বক্তব্য। আবার অনেকে বলেছেন, “বিপদের মুখেও নিজের দায়িত্ব পালন করাটাই প্রকৃত সাংবাদিকতার লক্ষ্য।”
২৬ জুন থেকে পাকিস্তানে অবিরাম মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যার তাণ্ডব চলছে। এখন পর্যন্ত ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
পাঞ্জাব: ৪৪ জন
খাইবার পাখতুনখোয়া: ৩৭ জন
সিন্ধু: ১৮ জন
বালুচিস্তান: ১৯ জন
পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK): ১ জন মৃত, ৫ জন আহত
বন্যায় হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। কৃষি, সড়ক ও বিদ্যুৎ সরবরাহেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হলেও অনেকেই প্রশাসনের প্রস্তুতি নিয়ে সমালোচনা করেছেন। অপরিকল্পিত কাজ, ত্রাণের অপ্রতুলতা এবং জরুরি ব্যবস্থার দেরিতে সাড়া দেওয়ার কারণে জনগণের মনে ক্ষোভ রয়েছে।