
পাকিস্তানে রাজনীতির দোলাচল তুঙ্গে। একদিকে পাকিস্তানের অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। একই সঙ্গে বিরোধী দলের অবস্থাও খারাপ হচ্ছে। কারাবন্দি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ করার প্রস্তুতি চলছে। শেহবাজ শরিফ সরকার তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফকে দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে। সেই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে, শিগগিরই তার দলকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে। শাহবাজ সরকারের একজন মন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ইমরান খান আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি ব্যর্থ করার চেষ্টা করেছেন। এরপর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এই দল দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। উল্লেখ্য, ৭১ বছর বয়সী ইমরান খানকে দুটি মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
পাক সরকার বলছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে নিষিদ্ধ করার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সংরক্ষিত আসনের বিষয়ে পিটিআইকে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া স্বস্তির পাশাপাশি অবৈধ বিয়ের মামলায় খানকে অব্যাহতি দেওয়ার পরে সরকারের এই সিদ্ধান্ত এসেছে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবেই পাকিস্তানে ইমরানের রাজনৈতিক যাত্রা শেষ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা তার জনপ্রিয়তায় গভীর প্রভাব ফেলবে।
আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি নস্যাৎ করার চেষ্টা
সরকারের দাবি, ইমরান খানের দলের নেতারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে পাকিস্তানের চুক্তি বানচাল করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। এ কারণে সে দেশ আইএমএফের সহায়তা পেতে পারেনি।
রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে রাখা হয়েছে
ইমরান খানকে ৯ মে লাহোরে দাঙ্গা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। নিরাপত্তার কারণে তাকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে রাখা হয়েছে। এখন তাকে লাহোর জেলে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। পাকিস্তান সরকারের মতে, পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং প্রাক্তন ডেপুটি চেয়ারম্যান কাসিম সুরির বিরুদ্ধেও ধারা ৬ প্রয়োগ করা হবে। ৬ ধারায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।