আইএসআই অফিসার আলী রাজা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি), সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উপ-জাতীয় গোষ্ঠীর সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যাপকভাবে কাজ করেছিলেন। এই তথ্য দিয়েছেন সিটিডির সিনিয়র আধিকারিক রাজা ওমর খাত্তাব।
রবিবার ৭ জুলাই পাকিস্তানের করাচিতে অজ্ঞাত আততায়ীদের গুলিতে ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (ডিএসপি) এবং আইএসআই অফিসার আলী রাজা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আলি রাজা ২০১৫ সালে গুরুদাসপুর জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ডও ছিলেন। করাচির ব্লক ১ করিমাবাদে হামলাকারীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। আইএসআই অফিসার ছাড়াও একজন নিরাপত্তারক্ষীও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তবে পরে তাকে জিন্নাহ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারে (জেপিএমসি) ভর্তি করা হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আইএসআই অফিসার আলী রাজা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি), সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উপ-জাতীয় গোষ্ঠীর সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যাপকভাবে কাজ করেছিলেন। এই তথ্য দিয়েছেন সিটিডির সিনিয়র আধিকারিক রাজা ওমর খাত্তাব। হামলার সময় আলি রাজা বুলেট প্রুফ গাড়িতে যাচ্ছিলেন। এরপর মোটরসাইকেলে করে দুই সন্দেহভাজন আসে এবং পালিয়ে যাওয়ার আগে নির্বিচারে গুলি চালায়। গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হন। তার বুকে, ঘাড়ে ও মাথায় বেশ কয়েকটি গুলি লাগে।
হামলাকারীরা ১১টি গুলি ছোঁড়ে
সিটিডির ডিআইজি আসিফ ইজাজ শেখ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পেছনে বসা সশস্ত্র হামলাকারীরা ১১টি গুলি ছোঁড়ে। হামলায় নিহত ডিএসপিকে ময়নাতদন্তের পর আনাচলির ইমাম বারগাহে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী (সিএম) সৈয়দ মুরাদ আলি শাহ এই হামলায় শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি নিহত অফিসারকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী আইজিপি সিন্ধুকে ঘটনাটি তদন্ত করে তার কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।