সাজিদ মীর বন্দি রয়েছে কারাগারে। কয়েক মাস আগে তাকে লাহোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এই জেলা পাঠান হয়েছিল। লাহোর জেলে প্রায় তিন বছর একটানা ছিল সে।
২৬/১১ মুম্বই হামলার অত্যতম মাস্টারমাইন্ড সাজিদ মীরকে বিষ দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের ডেরা গাজি সেন্ট্রাল জেলে বিষ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বর্তমানে সাজিদ মীর ভর্তি পাকিস্তান সেনা বাহিনীর বাহাওয়ালপুরের এএমএইচ ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে। বেশ কয়েক বছর ধরেই সাজিদ মীর বন্দি রয়েছে কারাগারে। কয়েক মাস আগে তাকে লাহোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এই জেলা পাঠান হয়েছিল। লাহোর জেলে প্রায় তিন বছর একটানা ছিল সে। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত সন্ত্রাসের জন্য অর্থায়নের একটি মামলায় সাজিদ মীরকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়।
সাজিদ মীর-
২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম চরিত্র ছিল। মীর লস্কর-ই-তৈবার প্রধান কমান্ডার। সেই সময় তার বয়স ছিল প্রায় ৪০। হাফিজ সইদের পাশাপাশি হামলার ছক কষেছিল সাজিদ মীরও। এই হামলায় ১৭৫ জনের মৃত্যু। তার বিরুদ্ধে বিদেশি সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করা, ষড়যন্ত্র করা, সন্ত্রাসবাদীদের ব্যক্তিগত সাহায্য করা, অর্থ প্রদান করার মত অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদে সাহায্য করা ও উৎসহ প্রদান করারও অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দ্য রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস প্রোগ্রাম, ইউনাইটেড স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট, সাজিদ মীরকে গ্রেফতার এবং দোষী সাব্যস্ত করার জন্য প্রায় ৫ মিলিয়ন পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
এই বছরের শুরুর দিকে বেজিং মীরকে বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে চায়নি। আর সেই কারণেই নয়াদিল্লি ও আমেরিকা চিন সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিল। বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, 'যদি আমরা প্রতিষ্ঠিত সন্ত্রাসীদের পেতে না পারি যারা জাতিসংঘ কর্তৃক নিষিদ্ধ বিশ্বব্যাপী নিষিদ্ধ করা হয়েছে - ক্ষুদ্র ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য - তাহলে সন্ত্রাসবাদের এই চ্যালেঞ্জের সাথে আন্তরিকভাবে লড়াই করার জন্য আমাদের প্রকৃত রাজনৈতিক ইচ্ছা নেই।' মীরকে যদি বিশ্বের জঙ্গি তালিকাভুক্ত করা যায় তাহলে তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা, ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা, অস্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা সম্ভব হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা করা যায়নি।