পাকিস্তানের বন্দরে এসে পৌঁছল তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ! ভারতের জন্য বাড়ছে ঝুঁকি?

Published : May 05, 2025, 02:40 PM IST
পাকিস্তানের বন্দরে এসে পৌঁছল তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ! ভারতের জন্য বাড়ছে ঝুঁকি?

সংক্ষিপ্ত

Turkish Warship Arrives Karachi Port: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ করাচিতে পৌঁছেছে। এটা কি সামরিক সাহায্যের ইঙ্গিত? জেনে নিন এই ঘটনার গুরুত্ব এবং ভারতের উপর এর প্রভাব।

Turkish Warship Arrives Karachi Port: পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই সময়ে তুরস্ক স্পষ্টভাবে পাকিস্তানকে সামরিক সাহায্য করছে বলে মনে হচ্ছে। তুরস্কের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ টিসিজি বুয়ুকাদা রবিবার করাচি বন্দরে পৌঁছেছে। এর কয়েকদিন আগেই তুরস্কের বিমানবাহিনীর সি-১৩০ বিমান করাচিতে অবতরণ করেছিল। তুরস্কের যুদ্ধজাহাজটি ৭ মে পর্যন্ত করাচিতে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই যুদ্ধজাহাজের পাকিস্তানে আগমন ঘটেছে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ড. ইরফান নেজিওরোগলু এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মধ্যে বৈঠকের পর। রাষ্ট্রদূত পাকিস্তানের প্রতি তুরস্কের সংহতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

করাচিতে কেন এলো তুরস্কের কর্ভেট?

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে যে তুরস্কের কর্ভেট দুই দেশের মধ্যে সামুদ্রিক সহযোগিতা জোরদার করতে করাচি বন্দরে এসেছে। এই সফরের উদ্দেশ্য হল দুই নৌবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ানো। তুরস্কের কর্মকর্তারাও এই সফরকে সৌহার্দ্যপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন। যদিও যুদ্ধজাহাজটি আসার সময় নিয়ে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বলা হচ্ছে, তুরস্ক পাকিস্তানকে সামরিক সাহায্য দিচ্ছে।

তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ টিসিজি বুয়ুকাদা সম্পর্কে তথ্য

টিসিজি বুয়ুকাদা হল তুরস্কের নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত সাবমেরিন-বিধ্বংসী যুদ্ধ (ASW) কর্ভেটের এডা-শ্রেণীর দ্বিতীয় জাহাজ। এটি ২০১৩ সালে তুরস্কের নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছিল। এই জাহাজগুলিকে সমুদ্রপৃষ্ঠে যুদ্ধ, সাবমেরিন-বিধ্বংসী যুদ্ধ এবং টহল মিশনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। টিসিজি বুয়ুকাদা আধুনিক রাডার সিস্টেম, ৭৬ মিমি নৌবাহিনীর বন্দুক, জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং টর্পেডো লঞ্চার দিয়ে সাজানো। এতে একটি হেলিকপ্টার অবতরণের প্যাড এবং হ্যাঙ্গারও রয়েছে। এই কর্ভেট সমুদ্রেও কাজ করতে পারে।

ভারতীয় নৌবাহিনীর কি উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত?

তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ এমন সময়ে করাচিতে পৌঁছেছে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলি ভারতের সামুদ্রিক সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে। এমতাবস্থায় অন্য কোনও দেশের যুদ্ধজাহাজ পাকিস্তানে পৌঁছালে ভারতীয় নৌবাহিনীর নজর থাকে। তুরস্কের যে কর্ভেট করাচিতে পৌঁছেছে তা সাবমেরিন সনাক্ত এবং ধ্বংস করার জন্য তৈরি। এটি তার সীমার মধ্যে আসা সাবমেরিন-বিধ্বংসী জাহাজের সম্পর্কে পাকিস্তানকে তথ্য দিতে পারে। ভারতীয় নৌবাহিনী সম্পর্কে তথ্য পেলে তা পাকিস্তানকে দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

তুরস্ক ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক

তুরস্ক ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশ সম্প্রতি আতাতুর্ক-XIII নামে একটি যৌথ মহড়া চালিয়েছে। এতে দুই দেশের সেনাবাহিনী আন্তঃকার্যকলাপের উপর কেন্দ্রীভূত যৌথ মহড়া চালিয়েছে। ২০২২ সালে পাকিস্তান চারটি MİLGEM-শ্রেণীর কর্ভেটের সহ-উৎপাদনের জন্য তুরস্কের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। দুটি জাহাজ ইস্তাম্বুলে এবং অন্য দুটি করাচি জাহাজঘাটায় তৈরি হবে। এর মধ্যে একটি পিএনএস বাবরের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। করাচিতে পৌঁছানোর আগে টিসিজি বুয়ুকাদা আঞ্চলিক সফরের অংশ হিসেবে ওমান এবং মালয়েশিয়া সফর করেছে। তুরস্কের কর্মকর্তারা বলেছেন যে এই সফর নিয়মিত এবং বৃহত্তর সামুদ্রিক কার্যকলাপের অংশ।

PREV
click me!

Recommended Stories

CDF আসিম মুনিরের হাতেই পাকিস্তানের পরমাণু শক্তির চাবি, সবথেকে শক্তিশালী ব্যক্তি তিনি
ক্রমশ বহরে বাড়ছে জইশের আত্মঘাতী স্কোয়াড! ৫০০০ মহিলা জঙ্গির নেতৃত্বে সাদিয়া