পাকিস্তান আর অশান্তি যেন সমার্থক শব্দ। খাইবা পাখতুনখোয়ার পর এবার নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠল পাক অধিকৃত কাশ্মীর। সেখানে পাক বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াল আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি। তাদের বিক্ষোভ থামাতে গিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে অন্তত ২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত আরও ২২ জন।
25
কী কারণে এই সঙ্ঘর্ষ?
এই বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, নিজেদের মৌলিক অধিকার ও দাবিদাওয়া পূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি। সোমবার তাদের জনরোষ থামাতে গিয়ে নৃশংস হামলা চালায় পাক সেনা। আর তাতেই দুইজন প্রাণ হারিয়েছেন ও ২২ জন আহত হয়েছে।
35
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ধর্মঘট
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন এই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণ। খর্ব করা হচ্ছে তাদের মৌলিক অধিকার। ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ জীবনযাপনের প্রাথমিক চাহিদা। খাদ্য-বস্ত্র ও পানীয় জলের তীব্র সঙ্কটে ভুগছে এই অঞ্চলের বাসিন্দারা। আর তাতেই পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে এই অঞ্চলের জনগণ।
জানা গিয়েছে, সমগ্র পাক অধিকৃত কাশ্মীর জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন নীলম ভ্যালি পাবলিক অ্যাকশন কমিটির মুখপাত্র শওকত নওয়াজ মির। তিনি বলেন, ‘’ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করেছে। সরকার যদি এভাবে জনগণকে অবহেলা করে তবে তার প্রতিক্রিয়া তো আসবেই।'' অন্যদিকে প্রশাসনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে কোনওরকম ধর্মঘট বরদাস্ত করা হবে না।
55
কী কী দাবি ধর্মঘটীদের
জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চাকা জ্যামের পাশাপাশি ৩৮ দফা দাবিদাওয়া পূরণের ডাক দিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবিদাওয়া পূরণ না হলে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল তারা। আর তাতেই ঘৃতাহুতি। বিদ্রোহ থামাতে গিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর রোষের মুখে পড়ে আন্দোলনকারীরা।