মুসলিমদের নিয়ে পোপের সঙ্গেও তরজায় বেজিং, উইঘুরদের নিয়ে কী এমন বললেন ফ্রান্সিস

Published : Nov 24, 2020, 07:46 PM ISTUpdated : Nov 24, 2020, 07:50 PM IST
মুসলিমদের নিয়ে পোপের সঙ্গেও তরজায় বেজিং, উইঘুরদের নিয়ে কী এমন বললেন ফ্রান্সিস

সংক্ষিপ্ত

উইঘুর মুসলিমদের পাশে দাঁড়ালেন পোপ  চিনে অত্যাচারিত মুসলিম সম্প্রদায়  পোপের দাবি উড়িয়ে দিল বেজিং বেজিংকে অসম্মান করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য   

উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে এবার সরব হয়েছেন পোপ ফ্রান্সিসও। এই প্রথমবার তিনি চিনের উইঘুরের মুসলিমদের পাশে দাঁড়িয়ে চিনা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হলেন। তিনি বলেন সেখানের মুসলিমদের নীপিড়িত সম্প্রদায়ের মানুষ। পাশাপাশি তাঁদের ওপর চলা অত্যাচারের বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু চিনা প্রশাসন পোপ ফ্রান্সিসের দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জিয়াং ঝাউ বলেন চিন প্রশাসনের প্রধানলক্ষ্যই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষা করা। সংখ্যালঘুদের আইনি অধিকার সমানভাবে প্রতিষ্ঠা করা। 

'লেট আর ড্রিমঃ দ্যা বেটার ফিউচার' শীর্ষক একটি বইতে পোপ ফ্রান্সিস বিশ্বের সবকটি দেশের সরকারের কাছে করোনা মহামারির পর সর্বজনীন নূন্যতম মজুরি নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। আর সেখানেই উইঘুরের মুসলিমদের নিয়ে মন্তব্য করেন। দীর্ঘ দিন ধরেই মানবাধিকার কর্মীরা পোপকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সূত্রের খবর বেজিং প্রশাসন উইঘুরের মুসলিমদের ওপর তীব্র অত্যাচার চালায়। মহিলা ও শিশুদেরও রেহাই দেয় না। বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের জন্যও তাদের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। তাদের রাখার জন্য তৈরি হয়েছে বন্দি শিবির। কিন্তু চিন সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন শিবিরগুলি শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবেই কাজ করেছে। জিংজিয়াং প্রদেশের বাসিন্দাদের কাজ থেকে শুরু করে আইন সকল বিষয়ে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। 

কোল্ড চেন তৈরি করে রাখতে বললেন রাজ্যগুলিকে, করোনা প্রতিষেধক বিলি পাখির চোখ প্রধানমন্ত্রীর .

৫০০ নিখোঁজ ১০০ ধুঁকছে, বেহাল অ্যাপগুলি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে প্রশাসনও ...

এর আগে পোপ মায়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন। পাশাপাশি ইরাকে আইসিসি জঙ্গিদেরও তীব্র সমালোচনা করেছন। তবে এই প্রথম তিনি উইঘুরের মুসলিমদের ওপর হওয়া অত্যাচার নিয়ে মুখ খুললেন। পোপ বলেছেন, চিনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের বিরুদ্ধে মানবতা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। গণহত্যার মত অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। সেখানে দশ লক্ষ মানুষকে বন্দি শিবিরে রাখা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। যদিও পোপের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে চিন। বলেছে বেজিংকে অসম্মান করতেই এজাতীয় মন্তব্য করা হয়েছে। শিবিরগুলিতে আটকে রাখা হয়েছে সন্ত্রাসবাদীদের। সেখানে আটকদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আটকদের শিক্ষার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অনেকই মনে করছেন বিশপ নিয়োগের জন্য ভ্যাটিকানের সঙ্গে বেজিং-এর একটি চুক্তি প্রক্রিয়া চলছিল। সেটি সেপ্টেম্বর মাসে সম্পন্ন হয়। তাই তার আগে উইঘুরদের নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি পোপ। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

News Round Up: কলকাতায় পা রাখছেন মেসি থেকে শুরু করে শুভেন্দুর নিশানায় মমতা, সারাদিনের খবর এক ক্লিকে
মার্কিন মুলুকে গিয়ে সন্তান প্রসবের ইচ্ছা! ভারতীয় পর্যটকদের জন্য ভিসা নীতিতে বদল ট্রাম্প সরকারের