প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরর্ডান করোনাভাইরাস নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিল। সেই সময় আচমকাই দুলে ওঠে ওয়েলিংটন।
নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন (PM Jacinda Ardern) ভূমিকম্পের (Earthqueak) মধ্যেই নিজের কাজ করে গেলেন। যদিও ভূকম্পন তাঁর মনো সংযোগে চিড় ধরিয়েছিল। সেই সময় তিনি কিছুটা হলেও থেমে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে আবার শুরু করেন তাঁর সাবাদিক সম্মেলন।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটন। দেশের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরর্ডান করোনাভাইরাস নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিল। সেই সময় আচমকাই দুলে ওঠে ওয়েলিংটন। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় দুলে ওঠেন তিনিও। আঁকড়ে ধরেন নিজের টেলিব। পরক্ষণের সামলে নিয়ে আবার শুরু করেন সাংবাদিক সম্মেলন। যদিও কম্পনে ব্যাঘাত ঘটার জন্য তিনি সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এমনিতে সব বিষয়ে যথেষ্ট সক্রিয়। তিনি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপও নিয়েছেন। সংক্রমণ রুখতে একটা সময় টানা লকডাউনের পথেই হেঁটেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু সম্প্রতী টিকা করণে জোর দিয়ে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে।
Bangladesh: 'আমরা মুসলমানরা মূর্তি ভাঙার জন্যই জন্মাই', শুনুন বাংলাদেশী ইমামের হিন্দু বিদ্বেষের কথা
নিউজিল্যান্ডে প্রায়শই মাঝারি থেকে তীব্র ভূকম্পন অনুভূত হয়। এই দেশটি সিসমিক্যালি সক্রিয় কিং অফ ফায়ারের ওপর অবস্থিত। ক্রাইস্টচার্চ শহরে এখনও ২০১১ সালের ভয়ঙ্কর ভূকম্পনের স্মৃতি বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেই সময় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৩। মৃত্যু হয়েছিল ১৮৫ জনের। ২০১৬ সালে কাইকোরাতে ৭.৮ ম্যাগনিচিউড ভূকম্পন অনুভূত হয়।
জিও নেটের মতে ওয়েলিংটনে ভূকম্পরের মাত্রা ছিল ৫.৯ ম্যাগনিচিউড। কম্পনের উৎপত্তিস্থল ছিল ৩৫ কিলোমিটার দূরে মধ্য ও উত্তর দ্বীপের তাউমারুনুই। কম্পনের জরে ওয়েলিংটন ও সংলগ্ন এলাকা কেঁপে ওঠে। যদিও তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। মার্কিন জিওলগিক্যাল সার্ভের মতে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬।