বাংলাদেশে ফের নৌকাডুবি। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জনের। মৃতরা সকলেই রোহিঙ্গা বলে জানা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে মহিলা ও ২টি শিশুও রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অবৈধভাবে জলপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিল তাঁরা। কক্সাবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের কাছে মঙ্গলবার সাকলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নৌকাডুবির পর এখনও পর্যন্ত ৭০ জনকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ওই নৌকায় থাকা বহু যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকাজে উপকূলরক্ষী বাহিনীর তিনটি দল নেমেছে।
আরও পড়ুন: ফের আত্মঘাতী হামলায় রক্তাক্ত আফগান রাজধানী, এবার নিশানায় সেনা একাডেমি
হতাহতদের সকলেই রোহিঙ্গা বলে জানা যাচ্ছে। নৌকায় সাগরপাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টায় ছিলেন তাঁরা। বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর সেন্ট মার্টিন স্টেশনের কমান্ডার নাইমুল হক বলেন, “টেকনাফ দিয়ে দুটি ট্রলারে করে রোহিঙ্গারা পাড়ি দিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নৌকাটি ডুবে গিয়েছে। নৌকায় ১২০ জন যাত্রীর মধ্যে ১৫ জনের মরদেহ ও ৬৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ৪০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় বা বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা করছি আমরা।”
আরও পড়ুন: চিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেল, এক দিনেই মৃত্যু হল ১০৮ জনের
সোমবার রাতে টেকনাফ উপকূল বরাবর দুটি ট্রলার মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাদ সাগরের মধ্যে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি ট্রলার ডুবে যায়। উদ্ধার হওয়া কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, দালালদের মাধ্যমে তাঁরা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে বের হয়ে মালয়েশিয়ার আশ্রয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝপথে এমন দুর্ঘটনা ঘটে।