বিশেষজ্ঞদের মত এটা নতুন নয়। দীর্ঘ দিন ধরেই পুতিনের নজর ছিল ইউক্রেনের দিকে। সময় সময় ইউক্রনকে বিরক্ত করেছেন পুতিন। ২০০৬ সালে ইউক্রেনে গ্যাস বন্ধ করে দেয়। গত ২২ বছর শাসন ক্ষমতায় থাকাকালীন নানাভাবে তিনি বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছেন ইউক্রেনকে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট ( Ukraine-Russia Crisis) অব্যাহত। এখনও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) নজর রয়েছে প্রাক্তন সোভিয়েত (Soviet)দেশটির দিকে। মার্কিন কর্মকর্তাদের অনুমান ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দেড় লক্ষ রুশ সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। সেনা প্রত্যাহার নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা হয়েছে। অল্প পরিমাণে সেনা প্রত্যাহার করে নিলেও এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি নিরাপদ নয় ইউক্রেন সীমান্ত। মার্কিন প্রেসিডেন্টে জো বাইডেন শুক্রবাই সতর্ক করে বলেছেন যে কোনও মুহূর্তেই ইউক্রেনের ওপর হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। তিনি আরও বলেছেন গোয়েন্দা রিপোর্ট যথেষ্ট উদ্বেগের।
গোয়েন্দা রিপোর্ট ও স্যাটেলাইটে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের যেসব জায়গাগুলি রাশিয়া দখল করেছিল সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। যারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ওপুক ও ইয়েভপাটোরিয়া রেলইয়ার্ড। সেখানে রাশিয়ান সেনা টহল দিচ্ছে। লেক ডোনুজলাভ ও নোভোজারনয়েতে সাঁজোয়া যান ও ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে রাশিয়া। অন্যদিকে রাশিয়া সামরিক মহড়ার জন্য বেলারুশে সেনা পাঠিয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনকে তিন দিক থেকে ঘিরে রেখেছে। কিন্তু কেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক আক্রোষ প্রাক্তন সোভিয়েতের এই দেশটির ওপর?
বিশেষজ্ঞদের মত এটা নতুন নয়। দীর্ঘ দিন ধরেই পুতিনের নজর ছিল ইউক্রেনের দিকে। সময় সময় ইউক্রনকে বিরক্ত করেছেন পুতিন। ২০০৬ সালে ইউক্রেনে গ্যাস বন্ধ করে দেয়। গত ২২ বছর শাসন ক্ষমতায় থাকাকালীন নানাভাবে তিনি বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছেন ইউক্রেনকে। বিশেষজ্ঞদের কথায় পুতিন এমন একজন ব্যক্তি হতে চান, যিনি ইউক্রেনকে রাশিয়ার অধীনে রাখতে চান। তিনি যদি এই কাজে সফল হন তাহলে আগামী ২০৩৬ সাল পর্যন্ত তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট থাকবেন। পুতিন একটি ব্যক্তিগত সামাজ্য বানাতে চান। সেই জন্যই তাঁর নজর ইউক্রেনে। ইউক্রেন একটা সময় রাশিয়ার সঙ্গে ছিল। কিন্তু পরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই পুতিনের ইচ্ছে ইউক্রেনকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা।
বিশ্লেষকদের মতে পুতিন চান সব দেশ রুশপন্থী হোক। সেইকারণেই পুতিন চান না ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন জোটে পুতিন যোগদান করুক। তিনি চান উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে জার সাম্রাজ্যের মত কোনও পরিস্থিতি তৈরি করা। অথবা তার ইচ্ছে প্রাক্তন সোভিয়েতকে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা। তবে সেখানে কমিউনিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠা না করে ব্যক্তি শাসনের ওপরই জোর দিয়েছেন পুতিন। তাই জন্যই সেনা নিয়ে তৈরি পুতিন। মার্কিন আশঙ্কা যেকোনও সময়ই আক্রমণ শুরু হতে পারে।