অবাককরা কাণ্ড অ্যান্টার্কটিকায়। বরফ স্তরের প্রায় ৩ হাজার ফুট নিচে প্রাণের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। এখানেই শেষ নয়। বিজ্ঞানীদের অনুমান তাঁরা দুটি অচেনা প্রাণীর সন্ধান পেয়েছেন সেখানে। সাধারণত বিজ্ঞানীদের ধারণা বরফ স্তরের এত নিচে কোনও প্রাণি বেঁচে থাকতে পারে না। তাই নতুন তথ্য প্রায় তালগোল পাকিয়ে দিচ্ছে বিজ্ঞানীদের অতীত অভিজ্ঞতা।
সদ্যোই বিজ্ঞানীরা দেখেছেন অ্যান্টার্কটিকার বরফ স্তূপের নিচে রয়েছে দুটি প্রাণি। সেগুলি বেঁচে রয়েছে বলেও দাবি বিজ্ঞানীদের। কিন্তু সেই প্রতিকূল পরিবেশে কী করে প্রাণিটি বেঁচে রয়েছে তা রীতিমত চ্যালেঞ্জ বিজ্ঞানীদের কাছে। বিজ্ঞানীরা মনে করতেন অ্যান্টার্কটিকার এই প্রতিকূল তাপমাত্রা ও খাবারের অভাবে কোনও প্রাণির বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু প্রাণিটি কী করে বেঁচে রয়েছে তা জানতে চান সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা।
ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্রের একটি বোল্ডারের সঙ্গে সংযুক্ত অবস্থায় প্রাণিটিকে দেখতে পেয়েছিলেন। ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ২ হাজার ৮৬০ ফুট নিচে রয়েছে প্রাণিটি। বিজ্ঞানীদের দাবি এই বরফের স্তরের নিচে সম্ভবত পৃথিবীর সবথেকে স্বল্প পরিচিত বাসস্থানগুলির মধ্যে একটি বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানী হু গ্রিফিথস। তিনি আরও বলেছেন যে তাঁর দলের কোনও বিজ্ঞানী ভাবেননি যে স্পনজের মতো এই ধরনের প্রাণি পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ফিল্মনার রন আইস শেল্পটি একটি বিশাল ভাসমান আইস শিট যা অ্যান্টার্কটিকার বিস্তীর্ণ অ়ঞ্চলে প্রসারিত। এটির দৈর্ঘ্য ৫৭৯,০০০ বর্গ কিলোমিটার। কিন্তু বরফের নিচে খব কমই অনুসন্ধান চালান হয়েছে। প্রচুর আইসগুলি মাঝে মধ্যেই বরফের ঢাকা পড়ে যায়। সেই বরফ স্তরেই ৩ হাজার ফুট নিচে জীবনের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা আরও একটি বেশি অবাক হয়েছেন, কারণ পেঙ্গুইনদের প্রজননস্থলটি ডিসেম্বরেই গলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। বিজ্ঞানী বলেছেন, এক মিলিয়ন বছরেও তারা এজাতীয় জীবনের সন্ধান পাওয়ার আশা করেননি। প্রাণিগুলি দুই প্রকার। লাল রঙের প্রাণিগুলিকে মনে হয় লম্বা ডালপালা যুক্ত। অন্য প্রাণিগুলি সাদা রঙের। সেগুলি স্পঞ্জের মত।
রাহুল গান্ধীকে বিয়ে করার পরামর্শ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর, প্রকল্পের সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে...
ডানলপ কারখানার কী হবে, ভোট প্রচারে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে স্বপ্নের জাল বুনছেন স্থানী...