রাগের মাথায় গলা টিপে মেরেছিল মাকে
তারপর ঠান্ডা মাথায় টুকরো করেছিল দেহ
সেই মাংস ফ্রিজেরেখে খেয়েছিল ছেলে
কী পরিণতি হল সেই নরখাদকের
হাড় হিম করা ঘটনা বললেও কম বলা হয়। মা-কে হত্যা করে, দেহ কুচি কুচি করে কেটে ১৫ দিন ধরে তা খেয়েছিল তার গুনধর পুত্র। ঘচনাটি ২০১৯ সালের। সেই 'ক্যানিবল অব লাস ভেন্তাস' বা 'লাস ভেন্তাসের নরখাদক', আলবার্তো স্যাঞ্চেজ গোমেজ-কে গত মঙ্গলবার দোষী সাব্যস্ত করেছে মাদ্রিদের এক আদালত। বিচারক তাকে ১৫ বছর ৫ মাসের জন্য কারাবাসের সাজা দিয়েছেন।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতার হয়েছিল আলবার্তো স্যাঞ্চেজ গোমেজ। ওই বছরের এপ্রিল মাস থেকেই তার বিচার চলছিল। তাকে শুধু মাকে হত্যা করা নয়, সেই মৃতদেহের অবমাননা করার অপরাধেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। কারাবাসের সাজার পাশাপাশি হত্যাকারীকে তাঁর ভাইকে প্রায় ৭৩,০০০ মমার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে।
মায়ের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদের মধ্যেই তাঁতে হত্যা করেছিল স্যাঞ্চেজ। প্রথমে মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেথিল সে। তারপর দুটি ছুরি এবং একটি করাতের সাহায্যে মায়ের মৃতদেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিল। তারপর কিছু অংশ ফ্রিজারে রেখে বেশ কয়েকদিন ধরে ভক্ষণ করেছিল সে। আর বাকি কিছু অংশ প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়ে ময়লা ফেলার বালতিতে ফেলে দিয়েছিল। একটি বাক্সে তার মায়ের দেহাবশেষ খুঁজে পেয়েছিল স্প্যানিশ পুলিশ।
আদালতে স্যাঞ্চেজের আইনদজীবী তাকে মানসিক অসুস্থ বলে ঘোষণার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, বিচারক সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। মাদ্রিদের এই ঘটনা অনেককেই ২০১৮ সালের দক্ষিণ আফ্রিকার একটি ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ওই ঘটনাতেও দুই ব্যক্তির ক্যানিবলিজম বা নরমাংস ভক্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। ওই মামলায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।