'ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখতে চাই', শীর্ষস্থানীয় তালিবান নেতা স্টেনিকজাইয় এই মন্তব্য করেছেন। তাঁর সঙ্গে ভারতের পূর্ব যোগাযোগ রয়েছে।
তালিবানরা ভারতের সঙ্গে রাজনৈতির অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক আর সাংস্কৃতিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে চায়। কাবুল দখলের পর এই প্রথমবার ভারত সম্পর্ককে মুখ খুলেই এই বার্তা দিলেন শীর্ষ স্থানীয় তালিবান নেতা শের মহম্মদ স্টানিকজাই । শনিবার তালিবান নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় এক মিনিটের একটি ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে তিনি বসেছেন, আফগানিস্তান যুদ্ধ শেষ হয়েছে। শরিয়া আইন মেনেই ইসলামি প্রশাসন গঠন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তালিবানরা। ভারত, পাকিস্তান, চিন, রাশিয়াসহ প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বাজায় রাখতে চায় তারা। পাশতু ভাষায় তেমননি জানিয়েছেন তালিবান নেতা। অথচ আফগানিস্তানের প্রাক্তর রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানির আমলে তালিবান ও তাদের সহযোহী হাক্কানি নেটওয়ার্কের হামলার মূল টার্গটেই ছিল সেদেশের ভারতীয় সম্পত্তি।
গত ১৫ অগাস্ট তালিবানরা কাবুল দখল করে। তার পর এই প্রথম ভারত নিয়ে কোনও কোনও মন্তব্য করল তালিবান শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও স্টানিকজাইয়ের আগে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার বিষয় আগ্রহ প্রকাশ করেছিল তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ ও সুহেল শাহীন। কিন্তু স্টাইনজাই তালিবানদের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যেই পড়েন। পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে তাঁর একটা যোগাযোগও ছিল। তিনি আফগান সেনা বাহিনীর প্রতিনিধি হয়ে ১৯৮২ সালে ভারতের দেরহাদুনের সেনা অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তারপর তালিবানদের সঙ্গে হাত মেলান। সেই সময় তিনি সহপাঠীদের কাছে শেরু নামে পরিচিত ছিলেন।তবে এই প্রথম তালিবান মুখপাত্রের বাইরে কোনও তালিবান নেতা প্রতিবেশি দেশগুলির সঙ্গে তালিবানরা কেমন সম্পর্ক রাখতে চায় তা স্পষ্ট করল ।
'জয়শ্রী রাম বলতেই হবে', মুসলিম ব্যক্তিকে ঘিরে ধরে আঙুল তুলে ধমকের ভিডিও ভাইরাল
Afghanistan Crisis: স্বমূর্তি ধারন তালিবানদের, খুন করল লোকসঙ্গীত শিল্পী ফাওয়াদ আন্দারাবিকে
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে স্টানিকজাই বলেছেন, 'এই উপমহাদেশে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। আমরা অতীতের মত ভারতের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক, আর্থিক, বাণিজ্যিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে চাই।' পাকিস্তান ও ভারতের সঙ্গে তারা যে বাণিজ্য করতে আগ্রহী তা সরাসরি জানিয়েছেন তালিবান নেতা।ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য আকাশপথও খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, দ্বিমুখী বাণিজ্যের রাস্তা খোলা রাখা উচিৎ ভারতের। একটি সূত্র বলছে, পাকিস্তান তাদের মাটি দিয়ে ভারতে পণ্য পাঠানোর অনুমতি গিয়েছে। কিন্তু ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসার জন্য তাদের ভূখণ্ডে প্রবেশের কোনও অনুমতি দেয়নি।
'তালিবানি সরকার দেশ চালাচ্ছে', হরিয়ানার কৃষকদের ওপর লাঠি চার্জে কৃষক নেতা কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপিকে
তালিবান নেতা এদিন জানিয়েছেন, তাঁরা ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক বাণিজ্যিক আর অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রীতিমত আগ্রহী। ভারতকে তাঁরা যথেষ্ট গুরুত্বদেন বলেও জানিয়েছেন। তাঁরা চান ভারত আর আফগানিস্তানের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকুক। তিনি আরও বলেন তুর্কমেনিস্তান-আফগানিস্তান-পাকিস্তান-ভারত (TAPI) গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প নিয়ে তালিবানরা সরকার গঠনের পরেই কাজ শুরু করবে।