তালিবানরা জানিয়েছে সরকার আর মন্ত্রিসভা নিয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে। কান্দাহারে দলের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে।
আফগানিস্তানের নতুন সরকার আর মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারেছে তালিবানরা। খুব তাড়াতাড়ি তারা নতুন সরকার সম্পর্কে ঘোষণা করবে তারা। এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, তালিবানরা সহযোগী আফগান নেতা ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর সরকার গঠন নিয়ে একমত হয়েছে। তালিবান সুপ্রিম কমান্ডার হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাডাই হবেন সরকারের মাথা।
একটি সূত্র বলছে যেকোনও গভর্নিং কাউন্সিলের নেতা হবেন হিবাতুল্লাহ আখুন্দাজাদা। আখুন্দাজাদার তিন জন সহযোগী থাকবেন। তিন সহযোগীর মধ্যে অন্যতম হবেন মোল্লা আব্দুল ঘানি বরাদর। তিনি বর্তমানে দলের অন্যতম মুখ। আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সরকারের নিত্যদিনের কাজকর্ম দেখভালের দায়িত্বও থাকবে বরাদরের ওপর। একটি সূত্র বলছে ইতিমধ্যেই কান্দাহরে এসে পৌঁছেছেন তিনি। তবে আখুন্দাজাদার গতিবিধি এখনও প্রকাশ্যে আনেনি তালিবানরা। তালিবানদের সংস্কৃতির বিভাগের শীর্ষ নেতা বিলাল করিমিও এই খবর জানিয়েছেন। একটি সূত্র বলছে বর্তমান আখুন্দাজাদাও কান্দাহারে রয়েছে। কান্দাহার বরাবরই তালিবানদের শক্তিঘাটি।
বুধবার তালিবান নেতা বিলাল করিমি জানিয়েছেন, ইসলামিক আমিরাতের নেতাদের মধ্যে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক আফগান সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পূর্ববর্তী সরকারের নেতা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যেই তালিবানরা মন্ত্রিসভা আর সরকার গঠন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাবে। আনুষ্ঠানিকভাবেই সবকিছু ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের জন্যই অপেক্ষা করেছিল তালিবানরা। আলোচনা চললেও সরকার গঠন নিয়ে তারা কোনও রকম কথা প্রকাশ করেনি। এক তালিবান কর্তা জানিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি বদারজ আর আখুন্দাজাদা কাবুলে যাবেন।
COVID 19: সাপের বিষেই করোনা-মুক্তি, নতুন গবেষণা আলো দেখাচ্ছে বিজ্ঞানীদের
আফগানিস্তানে জঙ্গিদের ছত্রছায়ায় ভারতের ২৫ সন্ত্রাসবাদী, ISIS-Kর হাত শক্ত করছে বলে অনুমান
তালিবানদের বিজয় রথ কি থামিয়ে দেবে পঞ্জশির, যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে তালিবান বাহিনীর
সোমবাই আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। তারপর থেকেই যুদ্ধ অবসানের কথা ঘোষণা করে কাবুল বিমান হন্দর দখল করে তালিবানরা। কিন্তু সরকার গঠন নিয়ে এখনও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পঞ্জশির এখনও তালিবানদের দখলে আসেনি। চরম আর্থিক সংকটে রয়েছে গোটা দেশ। তারপর রয়েছে তালিবানি শাসনের আতঙ্ক। গতকালই তালিবান মুখপাত্র জানিয়েছেন, তিন দিন ধরে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছ। অন্যদিকে এখনও শীর্ষ স্থানীয় সব তালিবান নেতা আফগানিস্তানে ফেরেননি। যাদের মধ্যে অন্যতম স্টানেকজাই। তিনি কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানদের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল ভারতের সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাসে গিয়ে কথাও বলেছেন। একটি সূত্র বলছে বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেতে পারেন তিনি।