সংক্ষিপ্ত
আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট খোরাসানের ছত্রছায়ার ভারতীয় দুডজন জঙ্গি রয়েছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। পাকি সীমান্তের কাছেই রয়েছে তারা।
সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত দুই ডজনেরও বেশি ভারতীয় আফগানিস্তানের জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট- খোরাসানের ছত্রছায়ায় সে দেশে রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রাকাশ করেছেন ভারতের গোয়েন্দারা। এদের অধিকাংশই ভারতের মোস্ট ওয়ান্টটেড জঙ্গি তালিকায় রয়েছে। গোয়েন্দাদের অনুমান আফগানিস্তানার আর পাকিস্তান সীমান্তের কাছাকাছে কোনও এক নিরাপদ আশ্রয়ে তারা রয়েছে। একটি সূত্র বলছে, এই ভারতীয়দের আফগান বাহিনী একটা সময় গ্রেফতার করেছিল। তাদের কারবন্দিও করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তারা মুক্ত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এদেশে না ফিরে ঘাঢাকা দিয়ে রয়েছে আফগানিস্তানেই।
তালিবানরা কাবুল দখলের পরই হাজার হাজার জঙ্গিকে মুক্তি দিয়েছিল। সেই সময় জেলবন্দি ভারতীয়রাও মুক্তি পেয়েছিল। তারপরই তারা ইসলামিক স্টেট খোরাসানের সঙ্গে হাত মেলায় বলেও মনে করা হচ্ছে। গত সপ্তাহেই কবুল বিমান বন্দরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পরই গোয়েন্দারা ইসলামিট স্টেট খোরাসেনের কার্যকলাপের ওপর নজর রাখছে। একটি সূত্র বলছে কাবুল বিমান বন্দরে জঙ্গি হামলায় যারা জড়িত ছিল তাদের অধিকাংশই কেরলের বাসিন্দা। আইএসআইএসে-এর সঙ্গে হাত মিলিয়েই তারা আফগানিস্তানে গিয়েছিল।
COVID 19: সাপের বিষেই করোনা-মুক্তি, নতুন গবেষণা আলো দেখাচ্ছে বিজ্ঞানীদের
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুয়ায়ী ভারতীয়রা ওঙ্গামা নানগারহার প্রদেশে রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। এই এলাকায় ওসামা বিন লাদেনের প্রাক্তন নিরাপত্তা প্রধান আমিন আল হকের জন্মস্থান। তবে ২৫ জন ভারতীয়র মধ্যে বর্তমানে কতজন জীবিত রয়েছে তার কোনও স্পষ্ট ধারনা নিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে।কারণ এই ২৫ জনের অনেকেই আত্মঘানী হামলায় যুক্ত থাকতে পারে। অনেকে আবার আফগান বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল।
তালিবানদের বিজয় রথ কি থামিয়ে দেবে পঞ্জশির, যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে তালিবান বাহিনীর
একটি সূত্র বলছে আফগানিস্তানের জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা আইজাজ আহঙ্গার। এই ব্যক্তি ভারতে ইসলামিক স্টেট খোরাসানের হয়ে জঙ্গি নিয়োগের কাজকর্মের দায়িত্বে ছিল। ভারতীয় গোয়েন্দারা মনে করেন আফাগানিস্তানের জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অধিকাংশ জঙ্গিকেই দায়িত্ব ও সংগঠন সক্রিয় করার কাজে ব্যবহার করেছে আইএস-কে। তালিবানদের কিছু সদস্যও এই সংগঠনে নাম লিখিয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
তালিবানদের সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক ভারতের, দোহায় স্টানিকজাইয়ের সঙ্গে কথা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের
২৫ জন ভারতীয় মধ্যে আবু খালিদও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ব্যক্তির অন্যনাম মোহম্মদ সাজিদ কুথিরুলম্মল। কেরলের কাসারগড়ের বাসিন্দা। একটি দোকান ছিল। ২০১৬ সালে এনআইএ বা জাতীয় তদন্ত এজেন্সির একটি মামলায় নাম ওঠে তার। ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশও জারি করা হয়েছি। গত বছর কাবুলের শিখদের গুরুদারে হামলার মূল চক্রীও এই ব্যক্তি ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।