শরীরের সব অঙ্গ দেখিয়ে ছাত্র পড়ালেন শিক্ষিকা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি

  • জটিল পাঠ পড়াতে সরল রাস্তা নিলেন শিক্ষিকা
  • শরীরের অঙ্গ প্রত্য়ঙ্গের অবস্থান বোঝাতে কী করলেন তিনি
  • শিক্ষিকা স্ত্রীর কাজ দেখে হতবাক হয়ে গেলেন স্বামী 
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে শিক্ষিকার ছবি

 

Tapas Dutta | Published : Dec 24, 2019 2:04 PM IST / Updated: Dec 24 2019, 10:29 PM IST

জটিল পাঠ পড়াতে সরল রাস্তা নিলেন শিক্ষিকা। শরীরের অঙ্গ প্রত্য়ঙ্গের অবস্থান বোঝাতে পরে এলেন 'অ্য়ানাটমি বডি স্য়ুট'। যা দেখে সহজেই শরীরে কিডনি,লিভারের অবস্থান বুঝে গেল ছাত্ররা। যদিও শিক্ষিকার এই পড়ানোর ধরন দেখে তাজ্জব হয়েছেন অভিভাবকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বামীর দৌলতে ইতিমধ্য়েই ভাইরাল হয়েছে শিক্ষিকার ছবি।

Muy orgulloso de este volcán de ideas que tengo la suerte de tener como mujer😊😊
Hoy ha explicado el cuerpo humano a sus alumnos de una manera muy original👍🏻
Y los niños flipando🤣🤣
Grande Verónica!!!👏🏻👏🏻😍😍 pic.twitter.com/hAwqyuujzs

— Michael (@mikemoratinos) December 16, 2019

ছোটদের বড় কথা বোঝাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন শিক্ষিকা। বায়োলজির ক্লাসে শরীরে কোথায়া কোন অঙ্গ রয়েছে কেতাবি কথায় তা বোঝাতে সমস্যা হচ্ছিল। অবশেষে সমাধান মিলল এক বিজ্ঞাপনে। ইন্টারনেটে সেই বিজ্ঞাপন দেখেই বুদ্ধিটা খেলে যায় স্প্য়ানিশ শিক্ষিকা ভেরোনিকা ডুকের। চটজলদি অ্যানটমি বডি স্য়ুট জোগাড় করে ফেলেন তিনি। এরপর যেমন ভাবা তেমন কাজ।

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র পড়াতে সোজা স্কুলে পৌঁছে যান ভেরোনিকা। এরপর একে একে কচিকাচাদের শরীর দেখিয়ে চিনিয়ে দেন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। হাসি মজার মাঝেই সহজেই জটিল পাঠ বুঝে ফেলে পড়ুয়ারা।  শিক্ষিকা স্ত্রীর এই অভিযান ক্যামেরাবন্দি করেন স্বামী। পরে তা ছড়িয়ে দেন টুইটারে। শিক্ষিকার অভিনব উপায়ে ছাত্র পড়ানো দেখে প্রশ্ংসা করেছে সোশ্য়াল মিডিয়া। ইতিমধ্য়েই শিক্ষিকার অ্যানাটমি পরা বডিস্য়ুটের ছবি ভাইরাল হয়েছে। ১৩ হাজার নেটিজেন এটি রি টুইট করেছে। লাইক পড়েছে ৬৬ হাজারেরও বেশি। 

দু'চাকায় হকার জীবন,'অচেতন সমাজকে' সচেতনতার পাঠ পড়ান বর্ধমানের কিংকর

স্ত্রীর কাজে দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়েছেন মাইক মোরাটিনোস। টুইটে মাইক জানান, তাঁর স্ত্রী ভাবনার আগ্নেয়গিরি। সেখান থেকেই একের পর এক চিন্তার বিচ্ছুরণ ঘটে। এটা থামানো খুব কঠিন কাজ।  তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগেও ছাত্রদের ইতিহাস পড়াতে কার্ডবোর্ডের মুকুট ব্যবহার করেছেন তিনি। ভেরোনিকা জানান, সাদামাটা শিক্ষিকার মতো একঘেয়ে বা চিরাচরিত পড়াশোনায় বিশ্বাস করেন না তিনি। সেই কারণে ছাত্রদের বোঝাতে নিত্য নতুন ভাবনার সাহায্য় নেন। 

ছাত্রদেরই জয়, আচার্য-কে ফিরিয়ে দিয়েই শুরু যাদবপুরের সমাবর্তন

স্কুল কর্তপক্ষ জানিয়েছে, ভেরোনিকার কাজে খুশি তাঁরা। ৪৩ বছরের ভেরোনিকা ছাত্র অন্ত প্রাণ। ওদের সঙ্গেই ওর ওঠাবসা। পড়ুয়াদের স্প্য়ানিশ ছাডা়ও,ইংলিশ,বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞানের মতো বিষয় পড়ান তিনি। তবে এসব প্রশ্ংসা কানে যাচ্ছ না ভেরোনিকার। আপাতত, অঙ্গ চেনাতে রঙ্গের দ্বারস্থ তিনি।

Share this article
click me!