১০ কোটি বছরের পুরনো মাথার খুলি উড়ন্ত ছোট্ট ডাইনোসরের, দাবি বিজ্ঞানীদের

ছোট্ট উড়ন্ত ডাইনোসরের হদিশ
১০ কোটি বছর পুরনো নিদর্শন
উদ্ধার মায়ানমার থেকে 
চলছে গবেষণা

Asianet News Bangla | Published : Mar 12, 2020 1:00 PM IST

মায়ানমার থেকেই স্পিলবার্গ পেতে পারেন তাঁর নতুন ছবির মশলা। আর নতুন ছবিতে গুরুত্ব পেতে পারে ছোট্টো উড়ন্ত ডায়নোসর। যা আবিষ্কার হওয়ায় রীতিমত চমকে গেছেন বিজ্ঞানীরা। আর নতুন এই ডায়নোসরর সন্ধান পাওয়া গেছে মায়ানমারে। কোটি কোটি বছর আগে ময়ানমারে জুড়ে ছিল ম্যানগ্রোফ অরণ্য। আর সেখানেই ছিল ডাইনোসরদের অবাদ বিচরণ ভূমি। এখনও পর্যন্ত তেমনই দাবি করেন অনেক বিজ্ঞানী। আর সেই সব বিজ্ঞানীর দাবি আরও জোরালো করল ময়ানমার থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ছোট্ট মাথার থুলি। সংশ্লিষ্ট এক বিজ্ঞানী অবস্য জানিয়েছেন খুলিটি এতটাই ছোট্ট ছিল যে প্রথমে তা তাঁর নজর এড়িয়ে যায়। পরে অবস্য ভালো করে তিনি খোয়াল করেন। শুরু হয় গবেষণা। তারপরই জানান  এটি একটি উড়ন্ত ডাইনোসরের মাথার খুলি। তবে খুব অল্প বয়েস মৃত্যু হয়েছে পাখি ডাইনোসোরটির। বিজ্ঞানীর কথায় , কিশোর পাখির থেকেও ছোট্ট। আর টি-রেক্সের থেকে পুরনো। এই মাথার খুলি অনন্তকালের জন্য সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে মায়ানমারের অ্যাম্বার গ্লোবুলে। 

আরও পড়ুনঃ 'বিশ্বব্যাপী মহামারী' করোনায়ভাইরাসে আক্রান্তরা কী পাবেন বিমার সুবিধে, জল্পনা তুঙ্গে ভারতে

প্রাথমিক পরীক্ষার পর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে উড়ন্ত ডাইনোসরের সন্ধান পাওয়া গেছে তা প্রায় ১০ কোটি বছর পুরনো।  উদ্ধার হওয়া উড়ন্ত ডাইনোসরের মাথার খুলির দৈর্ঘ্য ৭.১ মিলিমিটার। একগুচ্ছ ধারালো দাঁতও রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তাঁদের দাবি এতদিন পর্যন্ত যত ডাইনোসরের সন্ধান পাওয়া গেছে এটি তাদের মধ্যে সবথেকে ক্ষুদ্রতম। এর আকার ছিল খুব ছোট্ট পাখির মত। অনেকটা মৌমাছি হামিংবার্ডের আয়তনের সমান। ডাইনোসরটি এতটাই ছোট ছিল যে বেশ কিছু পোকামাকড়ের শিকার হতে হয়েছে তাকে। তাই সম্পূর্ণ আকার না পাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছিল এই উড়ন্ত ডাইনোসরের। 

আরও পড়ুনঃ দিল্লির হিংসায় আর্থিক সাহায্য হাফিজ সইদের, তেমনই বলছে সূত্র

খুব ছোট্ট এই খুলিতে অবস্য পাখির কোনও বৈশিষ্ঠ নেই। তবে ডাইনোসরের বৈশিষ্ট বর্তমান। ইতিমধ্যে একাধিক বিজ্ঞানভিত্তিক ম্যাগাজিনে স্থান করে নিয়েছে এই ছোট্ট মাথার খুলি। তবে এখনও আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু যতই গবেষণা করা হোক স্পিলবার্গের মত এই ফসিলে নতুন প্রাণের সঞ্চার করতে তাঁরা পারবেন না বলে আপসোসও করছেন। 

Share this article
click me!