সংক্ষিপ্ত

  • দিল্লির হিংসায় জড়াচ্ছে হাফিজ সইদের নাম
  • ইন্দোনেশিয়ার সংস্থার মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য
  • প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা সাহায্যের অভিযোগ
  • বাংলাদেশের সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার সংস্থা

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজধানী দিল্লি। শাহিনবাগ, জামিয়াসহ একাধিক এলাকায় প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন বহু মানুষ। কিন্তু মাসখানের পরেই দিল্লি দেখল ভয়ঙ্কর হিংসা। সিএএ সমর্থক ও প্রতিবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষ । তিন দিনের লাগাতার হিংসা কেড়ে নিয়েছে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ। যারমধ্যে রয়েছে হিন্দু ও মুসলিম- দুই সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু এই হিংসার পিছনে কাদের হাত ছিল? তাই নিয়ে ক্রমশই জল্পনা দানা বাঁধছে। সেই সময়ই সামনে একটি রিপোর্ট। যেখানে হিংসায় আর্থিক সাহায্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার একটি অলাভজনক সংস্থার বিরুদ্ধে। যে সংস্থার সঙ্গে আবার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে পাক জঙ্গি হাফিজ সইদের। ভারতে একাধিক নাশকতায় নাম জড়িয়েছে হাফিজের। মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ডই হাফিজ সইদ। 

আরও পড়ুনঃ First Published 12, Mar 2020, 2:46 PM IST গোটা বিশ্বের কাছে বর্তমানে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মারণ

আরও পড়ুনঃ সিএএ আন্দোলনকারীদের পোস্টার মামলায় সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা যোগী সরকারের

ইন্দোনেশিয়ার এক সংস্থা দিল্লির একটি সংস্থার মাধ্যমে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা পাঠানোর চেষ্টা করেছিল হিংসায় জড়িত ব্যক্তিদের কাছে। কিন্তু সেই কাজে সফল হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি। ইন্দোনেশিয়ার ওই সংস্থাটি বিভিন্ন মুসলিম দেশে আর্থিক সাহায্য পাঠিয়ে থাকে। একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত বলেও খবর। বাংলাদেশের দাঙ্গাতেও মদত দিয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার সংস্থাটি। পাঠিয়েছিল আর্থিক সাহায্য। কক্স বাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প গঠনেও ওই সংস্থা অর্থ সাহায্য করেছিল। 

আরও পড়ুনঃ মুম্বইতে এবার করোনার থাবা, দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬৮, পিছোতে পারে আইপিএল ম্যাচ

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন দিন ধরে হিংসায় উন্মত্ত হয়েগিয়েছিল উত্তর পূর্ব দিল্লি। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত ৭০০টি মামলা দায়ের হয়েছে। ২,৪০০ জন হিংসার ঘটনায় যুক্ত বলে প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট। ২,৩৮৭ জনকে আটক অথবা গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লির পরিবেশ অশান্ত করতে প্রায়  আড়াইশোর বেশি বৈঠকও হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।