
আচমকাই ইন্টারনেট (Internet) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ইউরোপের (Europe) বিস্তীর্ণ এলাকা। বিস্তীর্ণ এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা (Internet Service) বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স, হাঙ্গেরি, ইটালি, পোল্যান্ড ইত্যাদি দেশের বড় অংশে ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। যার জেরে থমকে গিয়েছে বহু কাজ। সমস্যা পড়েছেন অনেকেই। আর এর নেপথ্যে রাশিয়া (Russia) রয়েছে অভিযোগ তুলেছে আমেরিকান (America) স্যাটেলাইট অপারেটর। তাদের তরফে অভিযোগ, রুশ সাইবার হানার (Cyberattack) ফলেই ইউরোপের বিস্তীর্ণ এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন (Thousands Without Internet) হয়ে গিয়েছে।
ইউটেলস্যাট নামে বিগব্লু স্যাটেলাইট কোম্পানির পক্ষ থেকে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানানো হয়েছে, জার্মানি, ফ্রান্স, হাঙ্গেরি, গ্রিস, ইটালি, পোল্যান্ডের মোট ৪০ হাজার মানুষ ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। পুলিশ (Police) এবং বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছে ভায়াস্যাট (Viasat) নামে আরও এক সংস্থা। এদিকে ফ্রান্সের স্পেস কমান্ডের প্রধান মাইকেল ফ্রিডলিং এর জন্য সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, এর নেপথ্যে রয়েছে রুশ সাইবার হানা। ইউক্রেন ছাড়াও ইউরোপের অনেক অংশ সাইবার হানার ফলে নেট যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জার্মানি এবং মধ্য ইউরোপেরও একই অবস্থা।
আরও পড়ুন- এগিয়ে ভারত, যুদ্ধের দশম দিনে প্রথম চার্টার্ড বিমানে ইউক্রেন থেকে নাগরিকদের উদ্ধার চিনের
জার্মান তথ্য দফতরকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, রাশিয়া ইউক্রেনের (Ukraine Russia Conflict) মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এই পরিস্থিতিতে গোটা ইউরোপ কোনও না কোনও ভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। আর তার মধ্যে একটি হল সাইবার হানা। যার ফলে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমনকী, থমকে গিয়েছে বহু কাজ। এদিকে বুধবার আমেরিকার পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, সাইবার হামলার শিকার হয়েছে আমেরিকারও বেশ কয়েকটি শহর। কেএ-স্যাট স্যাটেলাইটের আওতায় থাকা ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
পাশাপাশি জার্মানিতে ৫ হাজার ৮০০ হাওয়া কল অর্থাৎ টার্বাইন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মোট ১১ গিগাওয়াটের বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে খবর। সামরিক ও সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এই যুদ্ধের ফলে রাশিয়ার হ্যাকাররা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এর ফলে ইউক্রেন-সহ ইউরোপের বহু মানুষকে বিপদে ফেলা হয়েছে। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যখন এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে তখন এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি তারা। যদিও ইউরোপের সাইবার বিশেষজ্ঞদের তরফে বলা হয়েছে, বড় কোনও সমস্যা তৈরি হওয়ার আগেই সামলে নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরোধী এবং ইউক্রেনের সমর্থনে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট রুখতে ফেসবুক, টুইটারে নিষেধাজ্ঞা এনেছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন- ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার, যুদ্ধক্ষেত্রে আটকে থাকাদের জন্য এমন সিদ্ধান্ত